আলিপুরদুয়ার
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে আগুন লাগল কী ভাবে? প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য

মাদারিহাট (আলিপুরদুয়ার): সোমবার রাতে যখন আগুন লেগেছিল, তখনই মনে করা হচ্ছিল প্রাকৃতিক কারণে জঙ্গলে আগুন লাগেনি, বরং এটা মানুষই করেছে সে ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃত। প্রাথমিক তদন্তের পর সেই অবস্থানেই কিন্তু শিলমোহর পড়েছে।
জানা গিয়েছে, বিড়ির আগুন থেকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূচনা জলদাপাড়ায়। বন দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, সোমবার রাতে তোর্সায় স্নান করতে অথবা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কয়েক জন। তাঁদের জ্বলন্ত বিড়ির অংশ তোর্সার চর সংলগ্ন তৃণভূমিতে পড়েই দাউদাউ আগুন জ্বলে ওঠে।
তবে কার ব্যবহৃত সেই বিড়ি আগুনের উৎস, তা নিয়ে চলছে বিস্তারিত তদন্ত। এ ধরনের অসতর্কতামূলক কাজ বন্ধে বন দফতরকে আরও উদ্যোগী হওয়ার দাবি তুলেছে পরিবেশপ্রেমী মহল।
উল্লেখ্য, সোমবার রাতে দাবানলের কবলে পড়ে উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া জাতীয় অভয়ারণ্যের মালঙ্গি বিট। তোর্সার তৃণভূমি থেকে আগুন লাগে প্রথমটায়। শুষ্ক জলবায়ুতে অরণ্যের শুকনো পাতা এবং খড়কুটোয় তাই আগুন ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি। আগুনের লেলিহান শিখায় আকাশ লাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন করোনাভাইরাসের আশঙ্কায় এ রাজ্যেও বাড়ল নজরদারি
কিছুক্ষণের মধ্যেই ভয়াবহ দাবানলের গ্রাসে চলে যায় ৮ বর্গ কিলোমিটার গভীর জঙ্গল। তবে মঙ্গলবার সকালেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। স্বস্তির খবর এই যে গণ্ডার, বাইসন, হাতির মতো বড়ো বন্যপ্রাণের প্রাণহানি হয়নি। তবে ছোটো প্রাণী কারও কারও মৃত্যু হতেও পারে।
তবে ভবিষ্যতে এই ধরনের অসতর্কতামূলক কাজ যাতে না হয়, সে কারণে বন দফতরকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
আলিপুরদুয়ার
বন সহায়কপদের নিয়োগে কারসাজি! তৃণমূলত্যাগী নেতার কেলেঙ্কারির হদিশ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বিরাট একটি কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। নাম না করে কাকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ারের কর্মিসভায় নাম না করেই প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)? এ দিনের বিস্ফোরক মন্তব্যে বিরাট একটি কেলেঙ্কারিরও ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
কারও নাম না করেই মমতা বলেন, “আমাদের সঙ্গে ছিল, এখন বিজেপির কাছে চলে গিয়েছে। বন সহায়ক পদ নিয়ে কারসাজি করেছে, এই অভিযোগ আমার কাছে অনেকেই করেছেন। রাজ্য সরকার তদন্ত করছে”।
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, “ওই ছেলেটা, যে পাহাড়ে গিয়ে অনেক বড়ো বড়ো কথা বলে। তার আগে তাকে প্রশ্ন করুন, বন সহায়কপদে নিয়োগ নিয়ে কী করেছে। চুরি করে বিজেপির পকেটে চলে গেছে। বিজেপি একটা ওয়াশিং মেশিন। কালো চোর সেখানে যায়, আর বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে সাদা হয়ে বেরিয়ে আ্সে। এটাই বিজেপির কাজ। আবার বলে, তৃণমূলকে হারাও। তৃণমূলকে কোনো দিনই হারাতে পারবে না বিজেপি”।
এ দিনের সভা থেকে রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের তুমুল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে দলত্যাগীদের উদ্দেশেও দিলেন কড়া বার্তা।
বলেন, “কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”। দেখুন নীচের ভিডিয়োয়-
আরও পড়তে পারেন: আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আলিপুরদুয়ার
আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
“আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”, বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

খবর অনলাইন ডেস্ক: বুধবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে কর্মিসভায় যোগ দিয়ে ‘লোভী, ভোগী’দের জন্য বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
এ দিন তিনি বলেন, “যাঁরা লোভী, ভোগী তাঁরাই দল ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। যাঁরা যাবেন, চলে যান, তাঁদের জন্য রাস্তা খোলা”।
তিনি আরও বলেন, “কেউ কেউ এদিক-ওদিক দৌড়ে বেড়াচ্ছে। যে দুর্নীতি করেছে, সে তো পালিয়ে যাবেই। আমি সব জানি, কে কী করেছে। বিধানসভা ভোটের পর দেখে নেব”।
পাশাপাশি তিনি বলেন, “তৃণমূলে যাঁরা আছেন, তাঁদের শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে থাকতে হবে। তৃণমূলের টিকিট টাকা দিয়ে বিক্রি হয় না। তৃণমূলের টিকিট পেতে লবি করতে হয় না। তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়কদের টাকা দিয়ে কেনা যায় না। বিজেপি লোভ-ভোগে ভরে গেছে”।
রাজ্যের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, পুরোটাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে হয়েছে দাবি করে এ দিনের সভা থেকে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, “সারা দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কেরোসিন থেকে ভরতুকি তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। পেট্রোল-ডিজেলে সেস বসিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার যে বাজেট করেছে, সেটা জনবিরোধী। আমাদের বাজেট আসছে শুক্রবার। বিজেপি গরিবের কথা ভাবে না। ওরা ধনীলোকেদের দল। ভোট এলে গরিবের কথা বলে, আর ভোটের পরেই পালিয়ে যায়”।
দলত্যাগীদের নিশানা করে মমতা বলেন, “যত চোর-গুণ্ডাদের নিচ্ছে বিজেপি। ওটা যেন ওয়াশিং মেশিন। দুর্নীতিবাজদের নিচ্ছে আর ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে কালোকে সাদা করে দিচ্ছে। দুর্নীতিবাজ, চোর, দুষ্কৃতী সব বিজেপিতে যাচ্ছে আর সাফ হয়ে চলে আসছে। আর বলছে বিজেপি জিতবে। বিজেপি কোনো দিন জিতবে না। সিঙ্গুর থেকে নন্দীগ্রাম, দার্জিলিং থেকে পাহাড়, সব জায়গাতেই তৃণমূল জিতবে। সারা বাংলায় তৃণমূলই জিতবে”।
তিনি আরও বলেন, “লকডাউনের সময় অভিবাসী শ্রমিকরা পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরেছেন। একশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য সরকার তাঁদের ফিরিয়ে আনতে সবরকমের ব্যবস্থা করেছে। অভিবাসীদের পৌঁছাতে কিছু করেনি বিজেপি। আর এখন তৃণমূল ভাঙিয়ে নেতা নিতে চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছে”।
বাজেটে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে মমতা বলেন, “ওরা বলছে, বাংলায় ৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করে দেবে। মোদীজি দেখে যান, বাংলায় ৮৫ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি করেছে রাজ্য সরকার।৬৫০ কিমি রাস্তা তৈরি করবে বলছে, বরং আসুন আপনাকে আমরা তৈরি করে দিচ্ছি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে মেপে নিন, কতটাতে ৬৫০ কিমি পথ হয়”।
আরও পড়তে পারেন: বিরোধীদের দাবি মেনে কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনায় রাজি হল কেন্দ্র, তার পরেই উত্তাল রাজ্যসভা.
আলিপুরদুয়ার
৪৫০ জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ, নবদম্পতিদের হাতে উপহার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলালেন মুখ্যমন্ত্রী।

খবর অনলাইন ডেস্ক: মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় সাড়ে চারশো জোড়া আদিবাসী তরুণ-তরুণীর গণবিবাহ অনুষ্ঠানে অংশ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
নবদম্পতিদের হাতে উপহার তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “৯০০ জন যুবক-যুবতী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন, তাঁদের সবাইকে আমার অভিনন্দন।আজ যাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন, তাঁরা আমাদের গর্ব”।

গণবিবাহের অনুষ্ঠানের পর আদিবাসীদের নাচের তালে পা মেলান মুখ্যমন্ত্রী।চা বাগানের শ্রমিকদের হাতে জমির পাট্টার নথি-সহ এ দিনেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন তিনি।
এ দিনের অনুষ্ঠান থেকে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, “কোনো কাজ করে না ওরা। কোনো কাজ নেই, তাই শুধুমাত্র কুৎসা আর অপপ্রচার করে বেড়ায়। ওরা বলেছিল, সাতটা চা বাগান খুলবে, একটাও খুলতে পারেনি। আমরা ন’টা চা বাগান খুলেছি”।
পাশাপাশি নিজের সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “আগের বার বাজেটে কথা দিয়েছিলাম। এক বছর পূরণ হওয়ার আগেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করল রাজ্য সরকার। শ্রমিকরা পাকাপাকি ভাবে জমির পাট্টা পেলেন। তাঁরা পাকাপাকি ভাবে এই পাট্টা পেলেন।”।
আরও পড়তে পারেন: দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে দু’বছরে বিভিন্ন মন্ত্রকে ১.৪ লক্ষের বেশি মানুষকে চাকরি মোদী সরকারের
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা3 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি3 days ago
সোশ্যাল, ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের
-
প্রযুক্তি2 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!