সেনসেক্স ৩৩,৬৯০.০৯ পতন: -৩৪৩.৮৭ (১.০১%)
নিফটি৫০ ১,১২৪.৯০ পতন: -৯৯.৮৫ (০.৯৮%)
ওয়েবডেস্ক: বুধবার আশা জাগিয়ে ফের নিম্নমুখি সেনসেক্স-নিফটি। তবে শেয়ার বাজারের সূচকগুলির সাময়িক উত্থান-পতনের বাইরেও একটা বড়োসড়ো নজির গড়ে ফেলল। সেনসেক্সের সামগ্রিক রেখচিত্র দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যায়, ১০ বছর আগে ২০০৮ সালের পর থেকে এ ধরনের মহাপতনের মুখোমুখি হতে হয়নি সেনসেক্সকে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ সালের শুরুতে সেনসেক্স ছিল ১৮ হাজার পয়েন্টের উপরে। যা বছর শেষে নেমে যায় ৯ হাজার পয়েন্টে। সে বার অক্টোবরে মাত্র এক মাসের সময়কালে সেনসেক্সের পতন ঘটেছিল ৭.১৮ শতাংশ। আর চলতি ২০১৮ সালের অক্টোবরে এখনও পর্যন্ত সেনসেক্স খুইয়েছে ৭.৩৮ শতাংশ পয়েন্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চলতি অক্টোবরে সেনসেক্স/নিফটির অন্তর্গত অধিকাংশ সংস্থার শেয়ারের দাম গত ৫২ সপ্তাহের সর্বনিম্ন দামে এসে ঠেকেছে। তার উপর অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বিভিন্ন সংস্থার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল প্রকাশ হতে শুরু করে। রিলায়েন্সের মতো লাভদায়ী সংস্থার ত্রৈমাসিক হিসাব পেশের দিন সংস্থার কর্ণধার মুকেশ অম্বানির একটি মন্তব্য ওই সংস্থার শেয়ারের দামকে এক ঝটকায় নামিয়ে দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, গত জুলাই-আগস্ট ত্রৈমাসিকে সংস্থা লাভের মুখ দেখলেও গত বছরের তুলনায় এই লাভ অনেকটাই কম। একই ভাবে বুধবার শেয়ার মার্কেটের দুই সূচক সেনসেক্স এবং নিফটি সামান্য আশার আলো দেখালেও, এ দিন সেই পুরনো ধারা বজায় রাখল।
এ দিন ছিল এয়ারটেলের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের ফলাফল ঘোষণা। কোনো কারণে নির্ধারিত দিনের পর দিন এই ফলাফল ঘোষিত হল। যার প্রভাব পড়ল স্টকেও। এ দিন এয়ারটেলের শেয়ারের দাম পড়েছে ৬.২৮ শতাংশ। একই ভাবে দেশের বৃহৎ গাড়ি নির্মাতা সংস্থা মারুতি-সুজুকি ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক হিসাব পেশ হয় বৃহস্পতিবার। সেখানেও দেখা গিয়েছে গত বছরের তুলনায় বিশাল অঙ্কের লোকসান থাবা বসিয়েছে সংস্থার ঘাড়ে।
নিফটির শুরুই বলে দিচ্ছে, আরও কিছু যন্ত্রণা বাকি আছে
সবে মিলে এ দেশের শেয়ার বাজার নিয়ে চরম আশঙ্কায় রয়েছে দালাল স্ট্রিট। বিনিয়োগকারীদের রাতের ঘুম কবে স্বস্থানে ফিরবে, সেটাই দেখার।