ওয়েবডেস্ক: নিলামের সময়সীমা বাড়িয়েও লাভ হল না। কেউই আগ্রহ দেখাল না ঋণভারে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার টুইট করে এ কথা জানানো হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার ব্যাপারে একস্প্রেশন অফ ইন্টারেস্ট (ইওএল) জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল এ দিন বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
As informed by the Transaction Adviser, no response has been received for the Expression of Interest floated for the strategic disinvestment of Air India. Further course of action will be decided appropriately.
— Ministry of Civil Aviation (@MoCA_GoI) May 31, 2018
মন্ত্রকের সচিব আর এন চৌবে জানান, ইওএল জমা দেওয়ার সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। প্রথমে এই সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল ১৪ মে পর্যন্ত। তার পর তা বাড়িয়ে মাসের শেষ পর্যন্ত করা হয়। সচিব বলেন, বিকল্প যে ব্যবস্থা রয়েছে তারাই এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। ওই বিমানসংস্থা বিক্রির ব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে যে মন্ত্রিগোষ্ঠী রয়েছে সেটিই হল বিকল্প ব্যবস্থা।
১৯৩২ সালে যাত্রা শুরু করে এয়ার ইন্ডিয়া। এক সময়ে দেশের বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে একচেটিয়া কারবার ছিল এই বিমান সংস্থার। তখন একে আদর করে ‘আকাশের মহারাজা’ বলা হত।
দু’ মাস আগে নরেন্দ্র মোদী সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এয়ার ইন্ডিয়ার তিনটি শাখা- এআই, এআই এক্সপ্রেস এবং এআই-স্যাটস (এয়ারপোর্ট সার্ভিস কোম্পানি)। এদের মোট ঋণের পরিমাণ ২৪৫৭৬ কোটি টাকা এবং চলতি দায় ৮৮১৬ কোটি টাকা।
এয়ার ইন্ডিয়া অধিগ্রহণ করার জন্য টাটা গ্রুপ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস (এই দুই সংস্থা ভিস্তারা চালায়) এবং ইন্ডিগোর মালিক ইন্টার গ্লোব অ্যাভিয়েশন লিমিটেড এক জোট হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা পিছিয়ে আসে। একমাত্র ইন্ডিগোই এয়ার ইন্ডিয়ার আন্তর্জাতিক পরিষেবায় আগ্রহ দেখিয়েছিল। কিন্তু যখন তাদের বলা হয়, এয়ার ইন্ডিয়ার পুরো পরিষেবারই অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ পরিষেবারও দায়িত্ব নিতে হবে, তখন ইন্ডিগো সরে যায়।