খবর অনলাইন: আমেরিকায় ফের বন্দুকবাজের হানা। আফগান বংশোদ্ভূত বন্দুকবাজের গুলিতে প্রাণ দিলেন অন্তত ৫০ জন। জখম আরও ৫৩। এরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। ফলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বন্দুকবাজের নাম ওমর মাতিন। ঘটনার নিন্দা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, “এই ঘটনায় শোক ও ঘৃণা প্রকাশে আমেরিকানরা ঐক্যবদ্ধ। সন্ত্রাসের এই ঘটনা, হিংসার এই ঘটনা ঘটার পর নিজেদের মানুষদের রক্ষা করতে তাঁরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
আমেরিকার স্মরণাতীত কালের ইতিহাসে বন্দুক নিয়ে হামলার এত বড়ো ঘটনাটি ঘটে ফ্লোরিডার অরল্যান্ডো শহরে সমকামীদের এক নাইট ক্লাবে শনিবার রাত ২টো নাগাদ। সন্ধে থেকেই পার্টি শুরু হয়েছিল ওই নাইট ক্লাবে। রাত ২টো নাগাদ এক ব্যক্তি দু’ হাতে বন্দুক নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে চালাতে ক্লাবে ঢোকে। ভিতরে যাঁরা পার্টিতে মত্ত, তাঁদের অনেকেই কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিতে লুটিয়ে পড়েন। কিছু লোক ক্লাব ছেড়ে পালাতে সক্ষম হলেও বাকি অনেককেই পণবন্দি করে বন্দুকবাজ। অরল্যান্ডোর পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ক্লাব ঘিরে ফেলে। বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত ‘সোয়াট বাহিনী’ পণবন্দিদের মুক্ত করতে অভিযান চালায়। শুরু হয় বন্দুকবাজের সঙ্গে গুলি বিনিময়। বেশি ক্ষণ লড়াই চালাতে পারেনি বন্দুকবাজ। নাইট ক্লাবেই তার মৃত্যু হয়।
এই হামলার পিছনে সন্ত্রাসবাদীদের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ঘাতকের বাবা মীর সিদ্দিক বলেছেন, এই ঘটনার সঙ্গে ‘ধর্মের’ কোনও সম্পর্ক নেই। যদিও এনবিসি নিউজ বলেছে, হামলা চালানোর আগে মাতিন জরুরি পরিষেবার লোকদের ডেকেছিল এবং তথাকথিত আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর নামে আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। ওই গোষ্ঠী পরে তাদের অনুমোদিত সংবাদসংস্থা ‘আমাক’-এর মাধ্যমে জানিয়েছে এক জন আইএস ‘যোদ্ধা’ ওই আক্রমণ চালিয়েছে।
এই ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমেরিকার সব সরকারি ভবনে বৃহস্পতিবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।