খবর অনলাইন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটে বার্নি স্যান্ডার্স তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিন্টনের নির্বাচনী অর্থের দিকে আঙুল তুলে মন্তব্য করেছেন, রাজনীতিতে ওয়াল স্ট্রিটের প্রভাব বাড়ছে। কারণ, হিলারি ক্লিন্টন তাঁর নির্বাচনী তহবিলের যে হিসাব তুলে ধরেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, চার মিলিয়ন (৪০ লক্ষ) ডলার তিনি বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংস্থা এবং বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুযায়ী, প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনী তহবিলে তাঁর প্রাপ্ত অনুদান এবং দাতার নাম ফেডারেল ইলেকশন কমিটিকে জানাতে হবে। সেই নিয়ম অনুযায়ী ক্লিন্টন যে তথ্য পেশ করেছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানগুলি ছাড়াও তিনি আইনজীবী ও বিভিন্ন আইনি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে পরিমাণ অর্থ পেয়েছেন, তাতে সব মিলিয়ে তাঁর নির্বাচনী তহবিল দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৩৭ ডলার।
অন্য দিকে, বার্নি স্যান্ডার্সের তহবিল ৯ কোটি ৬৩ লাখ ১১ হাজার ৪২৩ ডলার। তিনি ওয়াল স্ট্রিটের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুদান নেননি। টুরিং ফার্মাসিউটিক্যালের কর্তার অনুদানও ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাঁর তহবিলের বেশির ভাগই আমেরিকার সাধারণ নাগরিকদের দেওয়া অনুদান যার কোনও কোনওটার পরিমাণ ২০০ ডলারেরও নীচে। এমনকী চাকরি নেই, এমন নাগরিকও অনুদান দিয়েছেন স্যান্ডার্সকে।
মার্কিন নির্বাচনে রিপাব্লিকান প্রার্থী টেড ক্রুজের ভোট তহবিল ৫ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ৫০৬ ডলার। টেক্সাসের এই সিনেটর বেশির ভাগ অনুদান পেয়েছেন তাঁর স্টেট থেকে। বিশেষ করে টেক্সাসের তেল, গ্যাস ও খামারবাড়িগুলি থেকেই তাঁর বেশির ভাগ অনুদান এসেছে।
অন্য দিকে,ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলের পরিমাণ ২ কোটি ৫৫ লাখ ২৬হাজার ৩১৯ ডলারের। এর বেশির ভাগটাই ব্যবসায়ী ট্রাম্পের ঋণ হিসাবে নেওয়া, যা পরে তাঁকে শোধ করতে হবে।
তবে অন্য একটি বিষয়ে ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বীদের দশ গোল দিয়েছেন। মিডিয়া মুঘল হওয়ায় তাঁকে টিভি বিজ্ঞাপনের জন্য একটা পয়সাও খরচা করতে হচ্ছে না।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।