খবর অনলাইন: প্রণয়ীর সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার খেসারত। মুখে কালি মাখিয়ে, মাথা মুড়িয়ে সারা গাঁয়ে ঘোরানো হল ২৩ বছরের এক যুবতীকে। পরিবারের ‘সম্মানরক্ষায়’ এই কাজটি করলেন মেয়েটির বাবা-মাই। ঘটনাটি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের। লাহোর থেকে ৪০০ কিমি দূরে ভাওয়ালপুরের উচ শরিফ গ্রামের।
পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল যুবতীটি। সপ্তাহ খানেক আগে সে বাড়িতে ফিরে আসে। তার পরেই তার উপর শারীরিক অত্যাচার শুরু হয় এবং তার ‘অপরাধের’ বিচার করার জন্য তার বাবা, সৎ মা ও অন্য পরিজনরা পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়। শনিবার গ্রামের পঞ্চায়েত বসে এবং শাস্তি ধার্য করে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার এহসান সাদিক জানিয়েছেন, ওই মহিলার পরিবারের ১০ জন সদস্য এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং মহিলার বাবা ও সৎ মাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করা হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শেষ করা হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পাকিস্তানের সব চেয়ে জনবহুল রাজ্য পঞ্জাবে সম্প্রতি পারিবারিক সম্মানরক্ষা সংক্রান্ত অপরাধ খুব বেড়ে গিয়েছে। পরিবারের সম্মতির বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ে করার ‘অপরাধে’ গত সপ্তাহে দু’টি গর্ভবতী মহিলাকে তাদের বাবা-মা নৃশংস ভাবে খুন করে। সম্মানরক্ষার অজুহাতে গত এক বছরে পাকিস্তানে ১১০০ মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।