খবর অনলাইন:এক দিকে যখন ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিসান বেকারিতে চলছে জঙ্গি উৎখাত অভিযান, অন্য দিকে তখন সংখ্যালঘু নিধন চেষ্টা অব্যাহত। সেবায়েত হত্যার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আবার নিশানায় মন্দিরের পুরোহিত। ঝিনাইদহের পরে সাতক্ষীরায়। সাতক্ষীরার ব্রহ্মরাজপুরের ইসকন মন্দিরের পুরোহিত ভবসিন্ধু বরকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় মানুষদের বয়ান থেকে জানা যায়। মন্দিরেই ঘুমোতেন ভবসিন্ধুবাবু। শনিবার ভোর ৪টের জনা ছয়েক লোক মুখে কাপড় বেঁধে মন্দিরে ঢোকে। ঘুমিয়ে থাকা ভবসিন্ধুবাবুকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে। ভবসিন্ধুবাবু চিৎকার করে উঠলে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন, দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়।
ইতিমধ্যে গুলশনের ঘটনায় দুঃখ, ক্ষোভ, বিস্ময়, নিন্দা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুসলিমরা রমজান মাসে কী ভাবে খুন করতে পারেন ভেবে পাচ্ছেন না হাসিনা। সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে হাসিনা বলেছেন, “ইসলাম শান্তির ধর্ম। অভিভাবকদের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা আপনাদের সন্তানকে সুশিক্ষা দিন। তারা যাতে বিপথে না যায়, সে দিকে নজর রাখুন। আর বিপথগামীদের কাছে আহ্বান, আপনারা সঠিক পথে ফিরে আসুন। ইসলাম ধর্মের মর্যাদা রক্ষা করুন।”
ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন মোদী। বলেন, “পাশে আছি। ভাববেন না। যখন যেমন প্রয়োজন হবে, বলবেন। যা যা করণীয়, আমাদের তরফে তা করতে দেরি হবে না।” কড়া ভাষায় ঢাকার রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার নিন্দা করে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জঙ্গি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে কোনও লড়াইয়ে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে ভারত।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।