ফারুক ভূঁইয়া রবিন, ঢাকা থেকে
২৫ মার্চ, ১৯৭১। ঢাকা শহর। সেই কালরাতে এখানে নেমে এসেছিল ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা। মুক্তিসংগ্রামের চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালি জাতির ওপর ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী। হায়েনার মতো ওদের আক্রমণের শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকবাল হক, জগন্নাথ হলে। এর পর সেই কালরাতে পুরো শহর জুড়েই চলতে থাকে ওদের গণহত্যা। কী ফুটপাতের ছিন্নমূল মানুষ! কী বস্তিবাসী! কিংবা দালানকোঠায় বসতি গড়া নাগরিক! কেউ রক্ষা পায়নি ওদের নৃশংস আক্রমণ থেকে। সারা শহরেই সংহারক ট্যাংক আর সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে বেড়ায় পাকিস্তানি হানাদাররা। এমন ভয়ানক, মানবতার জন্য এমন গভীর বেদনার রাত বাঙালির ইতিহাস তো বটেই, বিশ্ব ইতিহাসেও বিরল।
আর সেই রাতেই ওরা গ্রেফতার করে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। গ্রেফতার হওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে (২৫ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার পর) বঙ্গবন্ধু ঘোষণা দিয়ে গেলেন মহান স্বাধীনতার। আহ্বান জানান, ‘পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈনিকটিকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিতাড়িত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যেতে’।

এর পর শুরু হয় বাঙালির প্রতিরোধযুদ্ধ। গ্রামে-গঞ্জে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, দেশমাতার স্বাধীনতা রক্ষা ও দেশকে শত্রুমুক্ত করার শপথ নিয়ে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। এরই মধ্যে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গঠন করা হয় বাংলাদেশের প্রথম সরকার — মুজিবনগর সরকার। সে সরকারে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি। তাঁর অনুপুস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি আর তাজউদ্দিন আহমেদ প্রধানমন্ত্রী।
দিন যায়। মাস যায়। পাকিস্তানি হানাদারদের গণহত্যা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের সব অঞ্চলে। ওদের হাত থেকে নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউ রক্ষা পায়নি। তবে এরই পাশাপাশি সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধারাও নিজেদের সংগঠিত করে ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুবাহিনীর ওপর। এরই মধ্যে নভেম্বরে মিত্রবাহিনী গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধ অংশ নেয় ভারতীয় বাহিনীও।

একাত্তরে রণাঙ্গণের বাইরেও বাংলাদেশের সব ধরনের মানুষ স্বাধীনতার পক্ষে বিভিন্ন পন্থায় নিজেদের নিবেদিত করে। কেউ বহির্বিশ্বে জনমত গঠনের জন্য কাজ করেছেন, কেউ মুজিবনগর সরকারের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন, কেউ অর্থ সংগ্রহে নিবেদিত ছিলেন, কেউ ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা, কেউ হাতে তুলে নিয়েছিলেন কলম, কেউ বা আবার যোদ্ধাহতদের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন, কেউ নিজের সবটুকু দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন, নানা তথ্য সরবরাহ করে দিয়েছেন — এ ভাবেই সবাই যার যার অবস্থান থেকে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন। অবশেষে দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর আসে সেই কাঙ্খিত দিন — মহান বিজয় দিবস। শত্রুমুক্ত হয় বাংলাদেশ। বিশাল রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) জনসম্মুখে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তানি বাহিনী।

কী সহজেই বলা হয়ে গেল বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের কথা! আসলে এটা মোটেও তত সহজ ছিল না। খুবই কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়ে স্বাধীনতার জন্য। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে, আর ৪ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। কত মানুষকে দেশ থেকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ভারতে — অঙ্কের হিসেবে তা ১ কোটি। কতশত মানুষকে আজও বইতে হচ্ছে স্বজন হারানোর শোক, হারাতে হয়েছে স্বর্বস্ব।
মানুষের অধিকার আদায়ের যৌক্তিক সে সংগ্রামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ ছাড়া বাকি বিশ্বকে পাশেই পেয়েছিল বাংলাদেশ। সে দিন এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া ছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছিল প্রতিবেশী ভারত। সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী দেখিয়েছিলেন দৃঢ় মনোবল। তখনকার পরাশক্তি রাশিয়াও দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পাশে। সে সময় রাষ্ট্রপুঞ্জে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভেটোও দিয়েছিল বাংলাদেশের পক্ষে। এমনকী পাকিস্তানের নিশ্চিত পরাজয় দেখে বঙ্গোপসাগর অভিমুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের যাত্রা শুরু হলে রাশিয়া ও ভারতের কঠোর অবস্থানের কারণে পিছু হটতে বাধ্য হয় যুক্তরাষ্ট্র। সপ্তম নৌবহর ঠেকানোর জন্য রাশিয়া তখন বঙ্গোপসাগরে ব্যাপক সামরিক শক্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয়। ব্রিটেনও বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের পক্ষে রেখেছিল বিশেষ অবদান। প্রতিবেশী নেপাল-ভুটানও ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিক্সন-কিসিঙ্গার প্রশাসন পাকিস্তানকে গণহত্যায় মদত দিলেও দেশটির জনগণ ছিল বাংলাদেশর পক্ষেই।

স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার জন্য বাঙালির লড়াই শুধু ওই ৯ মাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই এর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেনি মানুষজন। শুরুতেই তারা জেগে উঠে ভাষার প্রশ্নে। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উঠে ১৯৪৮ সালেই। সে আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ নেয় ১৯৫২ সালে। নিজেদের ভাষা-সংস্কৃতির ওপর পাকিস্তানি আগ্রাসন সেখানকার বাঙালি কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি। রক্ত দিয়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার পর পাকিস্তানি শাসকদের প্রতিটি বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় বাঙালিরা। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নিরঙ্কুশ জয় ছিল পশ্চিম পাকিস্তান ও তাদের তল্পিবাহক মুসলিম লিগ নেতাদের বিরুদ্ধে বাঙালির কড়া বার্তা। এর পর স্বৈরশাসক আয়ুব বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান — এ সব আন্দোলনে উত্তাল ছিল পুরো ষাটের দশক। ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করলেও ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করে পাকিস্তানি শাসকরা। অর্থাৎ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস শুধু ১৯৭১ সালেই আটকে ছিল না। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটেছিল, সেটাই ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে যায় স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পথে।
অবশেষে সেই স্বাধীন রাষ্ট্র বাঙালিরা পেয়েছে। তার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ লড়াই, অদম্য সংগ্রাম, অসামান্য ত্যাগ। আর এ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীন রাষ্ট্র সৃষ্টি হওয়া কম প্রাপ্তি নয়। আজ নানা ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে, সে পাকিস্তান থেকে আজ অনেক দিক থেকেই এগিয়ে বাংলাদেশ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, উন্নয়ন, অর্থনীতি, জাতীয় নিরাপত্তা, জঙ্গিবাদের হুমকি মোকাবিলা — এ সব বিষয়ে পাকিস্তানকে অনেকে পিছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশ। দারিদ্র বিমোচন আর সামাজিক নানা সূচকে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে ঢের এগিয়ে।
দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তান ও এর আগে প্রায় ২০০ বছর ব্রিটিশদের শোষণের কারণে ভঙ্গুর অর্থনীতিতে থাকার পরও আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এক সময় হেনরি কিসিঙ্গারদের চোখে দেখা ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ এখন বিশ্বের অপার বিষ্ময়। একাত্তরে যুদ্ধবিধ্বস্ত একটি দেশ ভেঙে পড়া অবকাঠামো পুনর্গঠন করে এখন দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা থেকে চাকরি, মৌলিক নাগরিক অধিকার থেকে উন্নয়ন — পাকিস্তান আমলে সব দিক থেকেই বাঙালিরা ছিল অবহেলিত, শোষিত, বঞ্চিত। পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬ ভাগ হলেও সরকারি চাকরি ও সামরিক বাহিনীতে ১০ ভাগেরও কম বাঙালি অংশগ্রহণের সুযোগ পেত। শিল্প ও বিনিয়োগের দিক থেকে পিছিয়ে রাখা হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে। এখানকার পাট ও অন্যান্য কৃষিপণ্যের বিনিময়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করা হত পশ্চিম পাকিস্তানে। কিন্তু আজ সব ক্ষেত্রেই সে বাস্তবতা পেছনে ফেলে এসেছে বাংলাদেশ। একদম শূন্য অর্থনীতি দিয়ে রাষ্ট্রের পথচলা শুরু হলেও বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। বর্তমান সময়ে বিশ্বের টালমাটাল অর্থনীতির মধ্যেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের জিডিপির বৃদ্ধি ৬ থেকে সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে।

কিন্তু তবুও কিছু থেকে যায়! যে সাম্য-সমৃদ্ধির চেতনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে তা কি পুরোপুরি অর্জিত হয়েছে ? আজও তো আমাদের মধ্যে রয়েছে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে চরম বৈষম্য, আর তা ক্রমেই বেড়ে চলছে। মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে বাণিজ্যিকীকরণের থাবা দিন দিন আরও ভয়ানক হচ্ছে। শিক্ষার হার বাংলাদেশে বাড়ছে বটে, কিন্তু একই সঙ্গে বেকারত্বের হারও বাড়ছে ভয়ানক ভাবে। বাংলাদেশ স্বাধীন করার অন্যতম একটি লক্ষ্য ছিল, এখানে পাকিস্তানের মতো ২২টি পরিবারের হাতে সম্পদ কুক্ষিগত থাকবে না। কিন্তু বাংলাদেশ কি সেই লক্ষ্যে আজ পৌঁছতে পেরেছে ? এ দেশের সম্পদ কি ক্রমেই পুঁজিপতি-শিল্পপতিদের হাতে চলে যাচ্ছে না ? এ দেশে কৃষকের-মজুরের দীর্ঘশ্বাস ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছে। যারা শ্রমের বিনিময়ে দিনযাপন করছে, তাদের মূল্য দিন দিন কমছে — সেটা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হোক কিংবা সামাজিক বাস্তবতা থেকে। অর্থনৈতিক ভাবে এমন অসাম্য আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল না। রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে সার্থক করে তুলতে হলে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের কোনও বিকল্প নেই। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, তার সুফল শুধু পুঁজিপতিরা ও ক্ষমতাধররাই পাবেন তা হয় না, দেশের প্রান্তিক মানুষকেও এখন সুষম সুফল পেতে হবে।

স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ হবে একটি উদার ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। কিন্তু আজও আমাদের এখানে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রগতিশীলদের প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে। কুসংস্কার ও সাম্প্রদায়িতকাকে নির্মূল করার জন্য এখনও বাংলাদেশকে অনেক পথ হাঁটতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য যুগে যুগে মানুষ প্রাণ দিলেও এখনও গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি। মানুষের সাংবিধানিক অধিকারগুলো এখনও অহরহ লঙ্ঘিত হচ্ছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের যেখানে জনগণের সেবক হওয়ার কথা, সেখানে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও তাদের মধ্যে সাহেবি দৃষ্টিভঙ্গি রয়েই গেল। তাই মানুষের স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে বিলিয়ে দিতে হলে এ সব চ্যালেঞ্জ উতরাতেই হবে।
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। পৃথিবীর কোনও দেশকেই স্বাধীনতার জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়নি, যা বাঙালি করেছে। তবে সেই ত্যাগের বিনিময়ে সৃষ্ট স্বাধীন দেশের প্রাপ্তিও কম নয়। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে এক দিন স্বাধীনতা এনেছিল এ দেশের মানুষ, সে স্বপ্ন পূরণের জন্য এখনও অনেক পথ চলা বাকি। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের কাছে নাগরিকদের প্রত্যাশাও অনেক। নাগরিকদের সেই প্রত্যাশা পূরণের মধ্যেই নিহিত রয়েছে আজকের দিনের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের প্রকৃত সার্থকতা।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।