মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার সীমিত করার নির্বাহী আদেশে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল ফেডারাল আদালত। চারটি ডেমোক্র্যাট-শাসিত রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে মার্কিন জেলা বিচারক জন কফেনোর এই আদেশকে ‘পুরোপুরি অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেম।
ট্রাম্পের আদেশ অনুযায়ী, যদি কোনো শিশুর বাবা-মা উভয়েই মার্কিন নাগরিক না হন বা স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তবে ওই শিশুর নাগরিকত্ব স্বীকৃতি দেবে না আমেরিকা। আদেশটি ১৯ ফেব্রুয়ারি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।
বিচারক কফেনোর বলেন, ‘এই নির্দেশ অসাংবিধানিক তা বোঝার জন্য আইনজীবী হওয়ার প্রয়োজন নেই। আদালতে আমার চার দশকের অভিজ্ঞতায় এমন স্পষ্ট প্রশ্ন আমি খুব কম দেখেছি।’
মামলার নথি অনুযায়ী, আদেশটি কার্যকর হলে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ শিশুর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। ২০২২ সালে প্রায় ২,৫৫,০০০ শিশু জন্মগ্রহণ করেছে যাদের মায়েরা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন। এছাড়াও প্রায় ১,৫৩,০০০ শিশু জন্ম নিয়েছে যাঁদের বাবা-মা উভয়ই অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন।
জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নীতি বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে চালু রয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও একটি।
কানেকটিকাটের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম টং, যিনি নিজে জন্মসূত্রে নাগরিক এবং প্রথম চীনা-আমেরিকান নির্বাচিত অ্যাটর্নি জেনারেল, এই মামলা সম্পর্কে ব্যক্তিগত সংযোগের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এটি শুধু আইনি বিষয় নয়, এটি ব্যক্তিগত। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত ভুল এবং এটি আমেরিকান পরিবারে গভীর ক্ষতি করবে।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই আদেশ নিয়ে আইনি বিতর্ক আরও দীর্ঘায়িত হবে এবং এটি আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গনে গভীর প্রভাব ফেলবে।