রাশিয়ার মোকাবিলায় কোন কোন অস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন, দেখুন তালিকা

0

গত তিন সপ্তাহ ধরে ইউক্রেনের উপর লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। উলটো দিকে, রাশিয়ার সামরিক শক্তি ধূলিসাৎ হওয়ার পথে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন কংগ্রেসে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তা করার জন্য অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা চেয়ে কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ৮০ কোটি ডলারের অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইউক্রেনকে। নতুন ব্যাচে ৮০০টি স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম, ২,০০০টি জ্যাভলিন রকেট, ১০০টি ‘ট্যাকটিক্যাল’ ড্রোন, ২ কোটি রাউন্ড ছোট অস্ত্র গোলাবারুদ এবং ২৫,০০০ সেট বডি আর্মার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বাইডেনের প্রতিশ্রুতির তালিকায়।

এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা

s300

কিছু ইউরোপীয় ন্যাটো সদস্যদের মালিকানাধীন রাশিয়ান ডিজাইনের একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র এস-৩০০। যেটাকে দূরপাল্লার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম হিসাবে দেখা হয়।

স্টিংগার অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট সিস্টেম

stringer

এটি এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র, যা স্থল সেনা কাঁধে বহন করে। নিম্ন-উচ্চতার হুমকি মোকাবিলায় ব্যবহৃত হয়। এগুলো নিয়ে হেলিকপ্টার থেকেও গুলি চালানো যেতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই এর মধ্যে ৬০০টি সরবরাহ করেছে বা দিচ্ছে ইউক্রেনকে। জার্মানির মতো অন্যান্য দেশও ইউক্রেনকে এই অস্ত্র জোগানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

সুইচব্লেড ‘কামিকাজে’ ড্রোন

kami

সংবাদ সংস্থা এএফপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, সুইচব্লেড ৩০০ এবং সুইচব্লেড ৬০০, দুই ধরনের ড্রোন স্থল, আকাশ বা সমুদ্র থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। বড়োটির কাজের পরিসীমা ৫০ মাইল এবং এটি অ্যান্টি-আর্মার ওয়ারহেড-সহ লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে পারে।

জ্যাভলিন মিসাইল

jave

এটি একটি অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল সিস্টেম, যা নিজের লক্ষ্য খুঁজে বের করতে থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে। ইউক্রেনকে এই বিখ্যাত এবং মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এএফপি জানিয়েছে, ২,০০০টি জ্যাভলিন মিসাইল দেওয়া হবে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্দিষ্ট সংখ্যা এখনও ঘোষণা করেনি।

বেরাক্তার টিবি২ ড্রোন

bay

ইউক্রেনের কাছে প্রায় ২০টি তুর্কি যুদ্ধ ড্রোন রয়েছে। ফরেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অ্যারন স্টেইন এএফপি-কে জানিয়েছেন, চাহিদার তুলনায় যা পর্যাপ্ত নয়। কিন্তু ইউক্রেনের মনোবল বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

প্রসঙ্গত, দুই দেশের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা চললেও, যুদ্ধ সমাপ্তির কোনও ইঙ্গিতই দেননি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বরং জানিয়েছেন, তাঁদের পরিকল্পনা মতোই এগোচ্ছে যুদ্ধ। অন্য দিকে, ইউক্রেনের দাবি, যুদ্ধে অন্তত ১৪ হাজার রুশ সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রুশ বাহিনীর ৪৪৪টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে সফল হয়েছে ইউক্রেনীয় সেনা। এ ছাড়াও রাশিয়ার ১ হাজার ৪৩৫টি সাঁজোয়া গাড়ি, ৮৬টি বিমান, ১০৮টি হেলিকপ্টার, ১১টি ড্রোন এবং ৩টি রণতরী গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কিভের।

আরও পড়তে পারেন:

চিনে ওমিক্রনের নতুন ঢেউ, রাজ্যের উদ্দেশে ৫ সতর্কতা কেন্দ্রের

নাচে-গানে রঙের উৎসব উদ্‌যাপনে বিএসএফ জওয়ানরা, দেখুন ভিডিও

বিশ্বভারতীতে বসন্ত উৎসব পালন করলেন বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা, উঠল ‘উপাচার্য হঠাও’ স্লোগান

আতংক তৈরি করাই সার! ঘূর্ণিঝড়ের কোনো সম্ভাবনাই নেই, আপাতত গরম বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে

আম আদমি পার্টির মনোনয়নে রাজ্যসভায় যেতে পারেন হরভজন সিংহ

বিজ্ঞাপন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.