আয়ারল্যান্ড সরকার ও ভারত সরকারের যৌথ উদ্যোগে ১৫ আগস্ট ডাবলিনে ভগিনী নিবেদিতার জন্মের সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপিত হয়। এই অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছিল কলকাতার ‘হ্যালো হেরিটেজ’ সংস্থাও। ওই অনুষ্ঠানে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের ডাবলিন শাখার প্রধান স্বামী পূর্ণানন্দ ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে ভগিনী নিবেদতার অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁর আলোচনায় স্বাভাবিক ভাবেই চলে আসে শ্রীরামকৃষ্ণ, মা সারদা, স্বামী বিবেকানন্দ, ঋষি অরবিন্দ, রবীন্দ্রনাথের প্রসঙ্গ। নারী শিক্ষা প্রসারে নিবেদিতার ভূমিকাও আলোচনা করেন স্বামী পূর্ণানন্দ।
ওই দিনই আয়ারল্যান্ডের ডানগানন শহরের মিউজিয়ামে ভগিনী নিবেদিতার একটি মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। টায়রোন কাউন্টির এই ডানগাননেই ১৮৬৭ সালের ২৮ অক্টোবর মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল তথা নিবেদিতার জন্ম।
আয়ারল্যান্ডে নিবেদিতাকে ঘিরে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের অন্যতম কারিগর ছিলেন সেলেন্ডা মার্গারেট জেয়ার্ডিন। ইনি সম্পর্কে নিবেদিতার ভাই রিচমন্ড স্যামুয়েল নোবেল-এর নাতনি। সেলেন্ডা মায়ের কাছে অনেক গল্প শুনেছেন দাদুর দিদি মার্গারেট নোবেল সম্পর্কে। সেই থেকে তাঁর নিবেদিতা সম্পর্কে আগ্রহ জন্মায় এবং সেই আগ্রহই তাঁকে টেনে নিয়ে আসে নিবেদিতার কর্মক্ষেত্র এই কলকাতায়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কলকাতায় আসেন সেলেন্ডা। ঘুরে ঘুরে দেখেন নিবেদিতার স্মৃতিবিজড়িত প্রতিটি জায়গা। আর তখন থেকেই তিনি পরিকল্পনা করতে থাকেন কী ভাবে আন্তর্জাতিক স্তরে দিদিমার জন্মের দেড়শো পালন করা যায়। শেষ পর্যন্ত সেলেন্ডার সেই আশা পূর্ণ হল গত ১৫ আগস্ট।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।