রাবাত: যৌনতার বিনিময়ে ছাত্রীদের ভালো নম্বর দিতেন এক অধ্যাপক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাপক হইচই বাঁধে। জল গড়ায় আদালতে। শেষমেশ মামলার রায় শোনাতে গিয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপককে দু’বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এই হাই-প্রোফাইল মামলায় জড়িত আরও চার অধ্যাপককে এখনও আদালতে হাজির করা হয়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাত্রী ও অধ্যাপকের কথোপকথন ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরই হাসান আই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চাঞ্চল্যকর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। এর পর ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, যৌন হয়রানি ও হিংসার দায়ে একজন অধ্যাপককে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঘটনাটি আফ্রিকার মরক্কোর। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।
অভিযুক্ত মোট ৫
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরক্কোর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে হাই-প্রোফাইল যৌন হয়রানির মামলায় এটাই আদালতের প্রথম রায়। ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে হাসান আই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপককে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। ছাত্রীকে ভালো নম্বর দেওয়ার অজুহাতে উত্ত্যক্ত করতেন ওই অধ্যাপক। এ মামলায় আরও চার অধ্যাপককে এখনও আদালতে হাজির করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট পাঁচ অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ভালো নম্বরের বিনিময়ে ছাত্রীদের যৌন সম্পর্ক তৈরিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠেছে।
কী ভাবে প্রকাশ্যে এল ঘটনা
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছাত্রী ও অধ্যাপকের মধ্যে একটি সোশ্যাল মিডিয়া চ্যাট ফাঁস হলে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আসলে চ্যাটটি প্রকাশ্যে এনেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক পড়ুয়া। ধীরে ধীরে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে এবং এই কথোপকথন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছেও পৌঁছে যায়। এর পর ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়। যা নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়, অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামতে থাকে সাধারণ মানুষ।
অভিযোগ আরও অনেক
এ দিকে, একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আরও কয়েকজন ছাত্রী। সেখান থেকেই উঠে আসে আরও চার জন অধ্যাপকের নাম। মোট পাঁচ জন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একজন এখন অশালীন আচরণ, যৌন হয়রানি ও হিংসার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে মরক্কোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সুনামকে প্রভাবিত করেছে এ ধরনের ধারাবাহিক ঘটনা। তবে যে মামলাটিতে আদালত রায় ঘোষণা করেছে, সেটা অন্যগুলোর থেকে ভিন্ন। কারণ, এ ধরনের অভিযোগে এটাই প্রথম কোনো মামলা। আরও চার জন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ উঠলেও সেগুলো প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।