‘অল আইজ অন রাফা (সকলের নজর রাফাহর দিকে)’একটি এআই-উৎপাদিত ছবি। স্লোগান সহ ছবিটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আকার ছড়িয়ে পড়েছে। ইনস্টাগ্রামে এই পোস্টটি ৪৭ মিলিয়নেরও (৪ কোটি ৭০ লক্ষ) বেশি বার শেয়ার হয়েছে, যেখানে দুয়া লিপা, লুইস হ্যামিল্টন এবং গিগি ও বেলা হাদিদের মতো সেলিব্রিটিরা এটি শেয়ার করেছেন।
এই ছবি এবং স্লোগানটি ভাইরাল হয়ে ওঠে যখন এই সপ্তাহের শুরুর দিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা এবং পরবর্তীতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। ইসরায়েল জানায় যে তারা দু’টি হামাস কমান্ডারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল, এবং মারণাত্মক অগ্নিকাণ্ড সম্ভবত বিস্ফোরণের কারণে ঘটেছে। এই ঘটনার ভিডিয়ো মালোয়েশিয়ার এক যুবক পোস্ট করার পর ভাইরাল হয়ে যায়।
কী ভাবে এল এই স্লোগান
এই ইসরায়েলি হামলার আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে, যা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একটি ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা’ বলে মন্তব্য করেছেন। রাফাহতে এই মারণাত্মক ঘটনা ঘটার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিকৃত প্যানেস্তাইন অঞ্চলের প্রতিনিধি রিচার্ড পিপারকর্নের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি বক্তৃতার ক্লিপ শেয়ার করা হচ্ছে। তিনি তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সকলের নজর রাফাহর দিকে’, ইসরায়েলি বাহিনী দ্বারা শহর আক্রমণের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছিলেন।
জাতিসংঘের জেনেভার সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি অনলাইন কলে কথা বলার সময় মি. পিপারকর্ন বলেছিলেন যে তিনি ভয় পাচ্ছেন ‘অকল্পনীয় বিপর্যয়’-এর। যদি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শহরে বড় আকারে আক্রমণ করে, যা তারা আক্রমণ করার হুমকি দিচ্ছিল। তখন থেকে কর্মকর্তা এবং কর্মীরা মি. পিপারকর্নের এই বাক্যটি পুনরাবৃত্তি করে তাদের উদ্বেগ ও ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরোধিতা প্রকাশ করছেন, যা তিন সপ্তাহ আগে শুরু হয়েছিল।
গত কয়েক মাসে, ‘ অল আইজ অন রাফা’ স্লোগানটি সারা বিশ্বে সমাবেশ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গেছে। কিন্তু গত দুই দিনে, এই স্লোগান সহ এআই-উৎপাদিত ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, ইনস্টাগ্রামের একটি হিসাব অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ৪৭ মিলিয়নেরও বেশি শেয়ার হয়েছে। অন্যান্য সেলিব্রিটিরা যারা এই ছবি এবং স্লোগানটি শেয়ার করেছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন আমেরিকান অভিনেতা মার্ক রাফালো, ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং সিরিয়ার অভিনেত্রী কিন্ডা আল্লুশ।