বিদেশ
কাশ্মীর নিয়ে চিনের একটি বার্তায় চাপ বাড়ল পাকিস্তানের

বেজিং: কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান যতই বিভিন্ন মহলের শরণাপন্ন হোক, তাদের সব থেকে ঘনিষ্ঠ মিত্রও তাদের পাশে দাঁড়াতে রাজি হল না। কারণ চিনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আসন্ন মোদী-ঝিনপিং বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ আলোচনাই হয়তো হবে না। ফলে পাকিস্তানের ওপরে চাপ যে আরও বাড়ল তা বলাই বাহুল্য।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি ঝিনপিং কিছু দিনের মধ্যেই একটি ঘরোয়া বৈঠকে বসতে চলেছেন। সেই বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ খুব একটা গুরুত্ব পাবে না বলেই মনে করেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি জানি না কাশ্মীর নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আদৌ আলোচনা হবে না। এটা ঘরোয়া বৈঠক। আমি মনে করি ওঁরা কী আলোচনা করবেন, সেটা ওঁরাই ঠিক করে নেবেন।”
এর পর কাশ্মীর প্রসঙ্গে হুয়া বলেন, “কাশ্মীর বিষয়টি ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিষয় বলে আমরা মনে করি। আমরা চাই কাশ্মীরের সমস্যা ভারত এবং পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ আবহে আলোচনা করে সমাধান করুক।” এই কথার মধ্যে দিয়ে হুয়া বুঝিয়ে দিয়েছেন, যে কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে বিশেষ ‘সাহায্য’ করতে রাজি নয় চিন।
আরও পড়ুন ‘হিন্দি চাপানোর’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম পাঁচের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট কাশ্মীর নিয়ে দু’টি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। প্রথমত, কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়, আর দ্বিতীয়ত, রাজ্যটি দু’ ভাগ করে লাদাখকে আলদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়। কাশ্মীর নিয়ে চিন বিশেষ কিছু না বললেও, লাদাখ নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তারা। এই পরিস্থিতি মোদী এবং ঝিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। অক্টোবরে এই হবে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে।
বিদেশ
ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
ধন্যবাদ জানালেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস।

খবর অনলাইন ডেস্ক: “আশা করি অন্যরাও আপনার উদাহরণ অনুসরণ করবেন”, করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে এমনই প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রধান টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস।
মূলত ভ্যাকসিনের সুষমবণ্টন নিয়ে ভারত সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করতেই গ্যাব্রিয়েসাস বৃহস্পতিবার টুইটারে ধন্যবাদ জানান মোদীকে।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “ভ্যাকসিনের সুষমবণ্টনকে সমর্থন করার জন্য ভারত এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানাই। কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ইতিমধ্যেই বিশ্বের ৬০টির বেশি দেশে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচির প্রতি আপনি যে ভাবে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে চলেছেন, তা অন্য দেশগুলিও অনুসরণ করতে পারে”।
গত জানুয়ারি মাসেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান কোভিড-১৯ অতিমারি মোকাবিলায় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি ভারতে শুরু হয়েছে বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি। এ ছাড়া ভারত নিজের প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, মায়ানমার এবং নেপাল-সহ প্রায় ৬০টি দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছে।
আরও পড়তে পারেন: আপনার বয়স কি ৪৫ বছরের বেশি? সোমবার থেকে কী ভাবে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন
বিদেশ
নীরব মোদীকে ভারতে প্রত্যর্পণের পথ পরিষ্কার করে দিল লন্ডনের আদালত
শেষমেশ ভারতে ফেরানো হবে কি ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: দীর্ঘ আইনি টানাপোড়েনের শেষমেশ ভারতে ফেরানো হতে পারে ঋণখেলাপি মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে (Nirav Modi)।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের (PNB) থেকে প্রায় ১৪,০০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপের অভিযোগ রয়েছে নীরবের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার লন্ডনের এক বিচারক রায় দিয়েছেন, একটি মামলায় ভারতীয় আদালতের সামনে তাঁকে জবাব দিতে হবে। আর এই রায় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজের প্রত্যর্পণের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে হেরে গেলেন নীরব।
৪৯ বছর বয়সি ব্যবসায়ী এ দিন দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ (Wandsworth) জেল থেকে ভিডিওলিংকের মাধ্যমে উপস্থিত হয়ে জেলা জজ স্যামুয়েল গুজির (Samuel Goozee) শুনানিতে অংশ নেন। তবে লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার (Westminster) ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রায় দেওয়ার সময় কোনো আবেগ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
কী বলল আদালত
জানা যায়, নীবরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিয়ে গুজি জানান, ভারতে এর বিচার হবে এবং নীরবেব বিরুদ্ধে যে যে তথ্য উঠে আসছে তাতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হতে পারেন। বিচারক বলেন, “জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের প্রথম ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ মিলে যাওয়ায় আমি সন্তুষ্ট”।
বিচারক এই রায় ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি পটেলের কাছে পাঠাবেন। এই মন্ত্রকই ভারত-ব্রিটেনের প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় কাউকে প্রত্যর্পণের আদেশ দেওয়ার জন্য অনুমোদন দিয়ে থাকে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে দু’মাস সময় পাওয়া যাবে। তবে স্বরাষ্ট্রসচিবের নির্দেশ সচরাচর আদালতের বিরুদ্ধে যায় না। কারণ এই মামলায় খুবই সংকীর্ণ কিছু বিষয় বিবেচনা করে তাঁকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
নীরবের বিরুদ্ধে দু’ধরনের মামলা চলছে। একটি করেছে সিবিআই। যেটা পিএনবি থেকে জালিয়াতি সম্পর্কিত মামলা। অন্যটা করেছে ইডি। প্রতারণা পরবর্তী পর্যায়ে বেআইনি লেনদেন সংক্রান্ত মামলা চালাচ্ছে ইডি। এ ছাড়া সিবিআই মামলা সম্পর্কিত ‘প্রমাণ নিখোঁজ হওয়ার কারণ’ এবং সাক্ষীদের ভয় দেখানোর মতো অতিরিক্ত দু’টি অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এক নজরে নীরব-কাণ্ড
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নীরব মোদী এবং তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদারদের বিরুদ্ধে ২৮,০০০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই (CBI)। প্রাথমিক পর্যায়ে পিএনবির তাঁর বিরুদ্ধে ১১,০০০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ তোলে। একই সঙ্গে ধাপে ধাপে তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে শুরু করে ইডি (ED)। ওই বছরের এপ্রিলে নীরব হংকংয়ে গা ঢাকা দেন বলে জানা যায়।
পিএনবি জালিয়াতি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত নীরব মোদী দেশ থেকে পালিয়ে লন্ডনে আশ্রয় নিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর গ্রেফতার করা হয় পিএনবি জালিয়াতি কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত নীরব মোদীকে। ওয়েস্টমিন্সটার আদালতের তরফ থেকে পরোয়ানা জারি করার পর মোদীকে গ্রেফতার করে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ১৯ মার্চ, মঙ্গলবার নীরব দীপক মোদীকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে জামিনের শুনানির জন্য নীরব মোদীকে লন্ডনের একটি আদালতে পেশ করা হয়। তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হলে আত্মহত্যা করবেন, লন্ডনের আদালতে এমনই হুমকি দিয়েছিলেন পিএনবি জালিয়াতিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নীরব। তবে আদালত তাঁর জামিনের সেই আবেদন অবশ্য খারিজ করে দেয়।
আরও পড়তে পারেন: সোশ্যাল, ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ কেন্দ্রের
বিদেশ
অবিশ্বাস্য! ‘মানুষের মুখ’ নিয়ে জন্ম নিল হাঙরের বাচ্চা
আশ্চর্যজনক এমনই একটি হাঙর বাচ্চার হদিশ মিলেছে, না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না।

ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রের মধ্যে ‘মানুষের মুখ’ওলা হাঙরের ছবি আপনার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকতেই পারে। কিন্তু আশ্চর্যজনক এবং অবাক করা এমনই একটি হাঙর বাচ্চার হদিশ মিলেছে। রূপান্তরের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কোথায় পাওয়া গেল?

ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলে এক মৎস্যজীবী যখন প্রথম এই ‘মানুষের চেহারা’যুক্ত হাঙরের বাচ্চাটাকে দেখলেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের রোট এনডাওয়ের কাছে আবদুল্লাহ নুরেন (৪৮) নামে এক ব্যক্তি ওই মিউট্যান্ট বাচ্চা হাঙরটিকে ধরেছিলেন।
তাঁর অজান্তেই একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঙর ধরা পড়ে ট্রলারের জালে। তবে সেটাকে যখন তিনি কাটলেন, দেখেন পেটের ভিতরে তিনটি বাচ্চা হাঙর রয়েছে।
একটির মুখ মানুষের মতো

ওই তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটির চেহারা একে বারেই আলাদা। সেটার সঙ্গে মানুষের চেহারার অনেক মিল রয়েছে। দু’টি বৃহৎ গোলাকার চোখও রয়েছে সেটির। নুরেন বলেন, “দু’টো ছিল মায়ের মতো এবং একটার মুখ অনেকটাই মানুষের মতো”।
নুরেন ওই বাচ্চা হাঙ্গরটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এর পর সেটার সংরক্ষণে করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশীরা তাঁর কাছ থেকে ওই হাঙর বাচ্চাটাকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি।
ডেইলি মেল-এর কাছে নুরেন বলেন, “ওই হাঙর বাচ্চাটিকে দেখতে আমার বাড়িতে মানুষের ভিড় উপছে পড়ছিল। অনেকেই বলেছিল, তাঁরা এটাকে কিনতে চান। কিন্তু আমি মনে করছি, এটা আমার কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক”।
আরও পড়তে পারেন: এক দিন এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম, কারণটা জেনে নিন এখানে
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা3 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ2 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন