২০১৪ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিল রিও ডি জেনেইরো। সাধারণ মানুষের দাবি ছিল, যে কোটি কোটি টাকা খরচ করে পরিকাঠামোর উন্নতি ঘটানো হচ্ছে, তা দেশের সামাজিক ক্ষেত্রে কাজে লাগানো দরকার। কিছুই পাল্টায়নি তাতে। আজ যখন অলিম্পিকের উজ্জ্বল আলোয় রিও সারা পৃথিবীর চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে, তখনও কিন্তু ব্রাজিলের বাস্তবতা রয়ে গিয়েছে একই জায়গায়। যে বাস্তবতা চরম দারিদ্র, অসংখ্য গৃহহীন মানুষ, দুর্নীতি আর অসাম্যের।
বিশ্বকাপ ফুটবল ও অলিম্পিক-কে ঘিরে ব্রাজিলে যে বিনিয়োগ হয়েছে, তাতে ব্যাপক নগরায়ন হয়েছে, পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে, তৈরি হয়েছে অসংখ্য পার্ক ও মিউজিয়ম। কিন্তু এই সব ঝকঝকে রিয়েল এস্টেট প্রকল্প করার জন্য ২০০৯ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেকে উচ্ছেদ করা হয় ৭৭ হাজার মানুষকে।
সারা পৃথিবী থেকে আসা অসংখ্যা টিভি ক্যামেরা, অতিথি, পেশাদার ও দর্শকদের চোখের আড়ালে রয়েছেন সেই মানুষগুলো, যারা তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে প্রাণপাত করে চলেছেন। অলিম্পিকের এই আনন্দ যজ্ঞে তাদের কোনও ভূমিকা নেই। রিও অলিম্পিক ও রিও বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে কোনও আলোচনায় উঠে আসছে না, এই জরুরি প্রশ্নটা যে এর জন্য স্থানীয় গরিব মানুষদের কতটা মূল্য চোকাতে হল আর কারা এর সুবিধা পেলেন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।