মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন ইলন মাস্ক। ‘স্পেসএক্স’ ও ‘টেসলা’র সিইও এবার পা রাখলেন রাজনীতির ময়দানে। ৪ জুলাই, আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসের ঠিক পরের দিন ঘোষণা করলেন নিজের নতুন রাজনৈতিক দল— ‘আমেরিকা পার্টি’। আর সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, কবে কোন ভোটে লড়বেন।
ইলন মাস্কের এই রাজনৈতিক পদক্ষেপ আসছে এমন এক সময়ে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সদ্যই স্বাক্ষর করেছেন বিতর্কিত ‘বিগ অ্যান্ড বিউটিফুল’ বিলে। এই বিলের মাধ্যমে দেশে কর ও সরকারি খরচে বড়সড় কাটছাঁটের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। মাস্ক সেই বিলের প্রথমদিকের সমালোচকদের অন্যতম ছিলেন। ট্রাম্প যখন আইনটিতে সই করলেন, মাস্ক তার পরদিনই নতুন রাজনৈতিক দলের ঘোষণা করলেন।
এই দল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সমাজমাধ্যমে একটি জরিপও চালান মাস্ক। জানতে চেয়েছিলেন— আমেরিকার জনগণ কী সত্যিই বর্তমান দ্বিদলীয় ব্যবস্থা থেকে মুক্তি চান? উত্তর আসে জোরালোভাবে— হ্যাঁ। প্রায় ৬৫.৪ শতাংশ মানুষ সমর্থন করেন মাস্কের প্রস্তাবিত নতুন দল গঠনের পরিকল্পনাকে।
মাস্ক টুইট করে লেখেন, “আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হল আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। অপচয় আর দুর্নীতির মাধ্যমে আমাদের দেশকে দেউলিয়া করে ফেলা হচ্ছে। আমরা গণতন্ত্রে নয়, একদলীয় ব্যবস্থায় বাস করি।”
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে ২০২৮ সালে, তবে মাস্ক সেদিকে তাকিয়ে নেই। স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন— তাঁর দল লড়বে ২০২৬ সালের ‘মিড-টার্ম ইলেকশন’-এ। সেই নির্বাচনেই নির্ধারিত হবে ১২০তম মার্কিন কংগ্রেস। ভোট হবে হাউস অফ রিপ্রেজ়েন্টেটিভ্সের ৪৩৫টি আসনে এবং সেনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৩টিতে। পাশাপাশি, একাধিক প্রদেশে গভর্নর পদেও নির্বাচন হবে।
‘আমেরিকা পার্টি’ ঠিক কোন রাজ্য বা আসনে প্রার্থী দেবে, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাননি মাস্ক। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, তাঁর বিপুল অনুগামী এবং অনলাইন প্রভাব তাঁকে একটি শক্তিশালী নতুন প্লেয়ার হিসেবে তুলে ধরতে পারে মার্কিন রাজনীতির আঙিনায়।