বিজ্ঞান
আজই কি আসছে ‘ভালো খবর’? জল্পনায় অক্সফোর্ডের করোনা-ভ্যাকসিন
অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইন্সটিটিউট। অর্থাৎ, এই টিকার উৎপাদন শুরু হলে ভারতের হাতে তা চলে আসতে বেশি সময় লাগবে না বলেই আশা করা যায়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এ যেন এক বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে। মানবজাতিকে রক্ষা করার বিশ্বযুদ্ধ। কে আগে ভ্যাকসিন বাজারে আনবে, তার একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা। এই যুদ্ধে কে জিতবে?
কিছু দিন আগেই রাশিয়ার (Russia) সেচনেভ বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছিল, তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শেষ। আগস্টের মাঝামাঝিই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসতে পারে বলে দাবি তাদের। তা হলে কি করোনা ভ্যাকসিনের লড়াই জিতবে রাশিয়া?
বিশ্ব জুড়ে এ রকম একটা আলোচনার আবহে আজ জানা গেল, খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই ‘সুখবর’ দিতে চলেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University)। ব্রিটেনের একটি সংবাদ সংস্থার দাবি, প্রতিষেধক তৈরির সহযোগী বায়োফার্মা কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে (Astra Zeneca) নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করতে পারে অক্সফোর্ড।
তাদের এই গবেষণার নেতৃত্বে রয়েছেন ইবোলা প্রতিষেধক তৈরিতে দিশা দেখানো বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট। গবেষকদের একাংশ এখনও আশাবাদী যে সেপ্টেম্বরেই এই ভ্যাকসিন বাজারে চলে আসতে পারে।
ভ্যাকসিনের নাম ‘চ্যাডক্স-১’
জুনে ব্রাজিলে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর উপর ‘চ্যাডক্স-১’ (Chadox 1) প্রতিষেধকের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছিল অক্সফোর্ড। ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমটির দাবি, তাতে অভাবনীয় সাড়া মিলেছে। সব ঠিকঠাক চললে হয়তো সেপ্টেম্বর কিংবা তারও আগে বাজারে চলে আসবে ভ্যাকসিন।
ওই সংবাদমাধ্যমের রাজনৈতিক বিভাগের সম্পাদক রবার্ট পেস্টন আজ বলেন, ‘‘যা শুনেছি, তাতে অক্সফোর্ডের গবেষকদের আশা মতোই এর প্রয়োগে যথাযথ অ্যান্টিবডি ও টি-সেল (ঘাতক কোষ) তৈরি হচ্ছে মানবশরীরে। সব ঠিকঠাক চললে সেপ্টেম্বরেই এই ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে।’’
সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি
উল্লেখ্য, অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। অর্থাৎ, এই টিকার উৎপাদন শুরু হলে ভারতের হাতে তা চলে আসতে বেশি সময় লাগবে না বলেই আশা করা যায়।
তবে অক্সফোর্ড এখনও তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট পেশ করেনি! বাঁদরের উপর যে পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়ার শুরু হয়েছিল, শীঘ্রই তার রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
এ দিকে মার্কিন সংস্থা মডার্না জানিয়েছে, ২৭ জুলাই থেকে তাদের ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হবে।
বিজ্ঞান
এক দিন এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম, কারণটা জেনে নিন এখানে
চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। এখন আর এক দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা নয়। কী ভাবে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: শেষ অর্ধশতকের তুলনায় পৃথিবী যত দ্রুত গতিতে ঘুরছে, ততই কমছে এক দিনের সময়সীমা। অর্থাৎ, শেষ পাঁচ দশক ধরে পৃথিবীর আবর্তনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম!
ডেলি মেল -এর রিপোর্টে বলা বিজ্ঞানীদের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই চমকপ্রদ ঘটনাটির যথাযথ প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর আবর্তন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতির কারণেই বর্তমানে একটি দিনের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার চেয়ে “অতিসামান্য” ছোটো হচ্ছে।
২০২০-র থেকে ছোটো হবে ২০২১?

২০২০ সালে সব থেকে ছোটো দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ১৯৬০ সালের পর থেকে যা সব থেকে বেশি। এমনকী ২০২১ সাল আরও ছোটো হতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
সময় এবং তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌর দিনের সমান।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। ১৯৬০ সাল থেকে দিনের দৈর্ঘ্যের অতি-সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রেখে চলা পারমাণবিক ঘড়িগুলি পুরো বছর ধরে প্রায় ১৯ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধান তৈরি করবে।
কী ভাবে সময় কমছে

লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রেকর্ডে সব চেয়ে দ্রুততম ২৮টা দিন (১৯৬০ সাল থেকে) দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। কারণ, ওই দিনগুলিতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনগুলি গড়ের থেকে প্রায় মিলিসেকেন্ড সময় দ্রুত সম্পন্ন করে।”
পারমাণবিক ঘড়ির হিসেব অনুযায়ী, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টার (৮৬,৪০০ সেকেন্ড) চেয়ে কিছুটা কম সময় নিয়েছে।
ডেলি মেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই পৃথিবীতে সব চেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল (যেহেতু ওই দিনেই রেকর্ড শুরু হয়েছিল)। ওই দিনটি ছিল ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে সব থেকে ছোটো দিন রেকর্ড হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে গত বছরের ১২টি মাসে সেই রেকর্ড ২৮ বার ভেঙে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইন্টারন্য়াশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস (আইইআরএস) আনুষ্ঠানিক ভাবে পৃথিবীর একটি দিনের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি কি করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে কাজ করবে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমশ ছড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের শরীরে করোনার এই নতুন সংক্রামক রূপের সন্ধান মিললেও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রামক রূপটিতে কাজ করবে তো?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা

আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশে করোনার টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, নতুন স্ট্রেনটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি কাজ করবে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরছেন তাঁরা।
লন্ডনের এক গবেষক জেরেমি ফারার জানান, নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। ভ্যাকসিনও এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, ব্রিটেন থেকে আসা তথ্যগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে ভ্যাকসিনগুলি নতুন ভাইরাসটিকেও প্রতিহত করতে পারে। তবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করবে।
কেন এই প্রত্যাশা

কোনো জনসংখ্যা থেকে ভাইরাসগুলি খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে। পরিবর্তনগুলি সামান্য হলেও বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের গতিবিধি বা বিস্তার শনাক্ত করতে পারেন।
কিন্তু যদি কোনো ভাইরাস উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়, তা হলে সেটা একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনগুলি সে ভাবে সুরক্ষা দিতে পারে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোভি -১৯ ভ্যাকসিন পরিচালনমণ্ডলীর প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা মনসেফ স্লাওই বলেছেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি, এটা কোনো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না”।
একটি গবেষণা জানিয়েছে, মোডের্না, ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি তিনটি ভ্যাকসিন করোনার নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তবে ভাইরাস যদি বৃহত্তর চরিত্র বদল করে, তা হলে ভ্যাকসিন পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রের ভাইরাসের নতুন সংক্রামক রূপকে প্রতিহত করার ভ্যাকসিনের রদবদল ঘটাতে হবে। কিন্তু আপাতত তেমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
আরও পড়তে পারেন: আপনি যদি ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হন, তা হলেও কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আজ, সোমবার এক অসাধারণ মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছি আমরা। এ দিন সব থেকে কাছাকাছি চলে আসবে সৌরজগতের সব থেকে বড়ো দু’টি গ্রহ— বৃহস্পতি এবং শনি।
সোমবার এমনিতেই ২১ ডিসেম্বর, দক্ষিণায়ণ। এই দিনই দিন সব চেয়ে ছোটো থাকে এবং রাত সব চেয়ে দীর্ঘ হয়। আর এই দিনই ঘটতে চলেছে এই অসাধারণ ঘটনা। নাসা বলেছে, ১৬২৩ সালের পর এই প্রথম এত কাছাকাছি আসতে চলেছে সৌরমণ্ডলের প্রথম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ দু’টি।
জেনে নিন কিছু তথ্য
১) কলকাতায় আজ, সোমবার সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৪:৫৮-এ। সূর্যাস্তের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্তে দুই গ্রহকে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে।
২) তবে খুব কাছাকাছি থাকলেও দুই গ্রহের দূরত্ব ৭৩ কোটি কিলোমিটার।
৩) দু’টি গ্রহই থাকবে পরস্পরের থেকে ১/১০ ডিগ্রি দূরে।
৪) কলকাতায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬.৪৫ পর্যন্ত দু’টি গ্রহকে মোটামুটি স্পষ্ট দেখা যেতে পারে।
৫) টেলিস্কোপে বৃহস্পতির দু’একটি উপগ্রহও দেখা যেতে পারে।
৬) ২০৮০ সালের ১৫ মার্চ ফের এত কাছাকাছি চলে আসতে পারে দু’টি গ্রহ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশে নতুন সংক্রমণ ফের ২৫ হাজারের নীচে, কমল সংক্রমণের হারও
-
রাজ্য3 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা