হেজবুল্লার নিহত নেতা হাসান নাসরাল্লার স্থলাভিষিক্ত হলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন ধর্মীয় নেতাদের আরেক একজন নাইম কাসেম। মঙ্গলবার লেবাননের হেজবুল্লা নিজের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাইম কাসেমকে সংগঠনের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচন করেছে বলে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। আল জাজিরা-র রিপোর্ট অনুযায়ী, কাসেম হেজবুল্লার শিক্ষামূলক নেটওয়ার্ক এবং সংসদীয় কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন।
গত মাসে বেইরুটের দক্ষিণ অংশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লার নেতা হাসান নাসরাল্লা নিহত হন। কাসেমের নেতৃত্বে নতুন অধ্যায়ে পা দিল সংগঠনটি, যা দীর্ঘদিন ধরে লেবাননের রাজনৈতিক এবং সামরিক পরিসরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
একই দিনে, উত্তর গাজা উপত্যকায় একটি পাঁচতলা ভবনে ইজরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। অন্য দিকে, আমেরিকার একজন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন যে গাজায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাজকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে এমন দুটি আইন পাস করেছে ইজরায়েল। এটাই এখন মার্কিন প্রশাসনের গভীর উদ্বেগের বিষয়।
কে এই নাইম কাসেম?
২০০৬ সালে ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধের পরে নাসরাল্লা প্রকাশ্যে উপস্থিতি কমিয়ে দিয়েছিলেন। সেসময় থেকে কাসেম দলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর নাসরাল্লার মৃত্যুর পর থেকে কাসেম ইতিমধ্যে তিনটি টেলিভিশন ভাষণ দিয়েছেন।
১৯৯১ সালে হিজবুল্লার তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল আব্বাস আল-মুসাভি কাসেমকে ডেপুটি চিফ হিসেবে নিয়োগ করেন। পরের বছর মুসাভি ইজরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হন। তবে কাসেম ডেপুটি পদে থেকে যান। পরে নাসরাল্লার নেতৃত্বের সময়েও একই পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫৩ সালে বেইরুটে জন্মগ্রহণকারী কাসেম লেবাননের দক্ষিণ অংশের এক পরিবারের সন্তান। ১৯৮২ সালে ইজরায়েলের লেবানন আক্রমণের পর হিজবুল্লা প্রতিষ্ঠিত হলে কাসেম ছিলেন দলের প্রথম সদস্যদের একজন। ১৯৯২ সাল থেকে দলের সংসদীয় নির্বাচন প্রচারের সাধারণ সমন্বয়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
কাসেম তাঁর সাদা পাগড়ির জন্য পরিচিত, যেখানে নাসরাল্লা ও তার পূর্বসূরীরা কালো পাগড়ি পরতেন। এতে তাঁদের নবী মুহাম্মদের বংশধর হিসেবে বোঝাত বলে দাবি করা হয়।