রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম কমিটিতে পাকিস্তান ও সিরিয়ার আনা ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত প্রস্তাবে একমাত্র দেশ হিসেবে বিরোধিতা করল ভারত। পাকিস্তান ও সিরিয়ার প্রস্তাবটি ভোটে ১৭৯ সদস্যের সমর্থন লাভ করে এবং এটি গৃহীত হয়। তবে ইজরায়েল অনুপস্থিত থাকলেও ভারত একমাত্র দেশ হিসেবে প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম কমিটি নিরস্ত্রীকরণ, আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য হুমকি প্রতি রোধে কাজ করে থাকে। এই প্রস্তাবে বলা হয়, “আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।”
প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, “স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে অধিকাংশ শান্তি ও নিরাপত্তার হুমকি একই অঞ্চল বা উপঅঞ্চলের রাষ্ট্রগুলির মধ্যেই দেখা দেয়। তাই ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য আঞ্চলিক এবং উপআঞ্চলিক স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।” এটি দক্ষিণ এশিয়ার প্রস্তাবনা এবং লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের উদ্যোগগুলোর প্রসঙ্গও তুলে ধরে।
এছাড়া, “বৃহত্তর সামরিক ক্ষমতা সম্পন্ন রাষ্ট্রগুলির আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য এমন চুক্তি প্রচারের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে” উল্লেখ করে প্রস্তাবটিতে আঞ্চলিক এবং উপআঞ্চলিক পর্যায়ে ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে “জরুরি বিবেচনার” প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ভারতের এই বিরোধিতার মাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রতি ভারতের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। তবে, ভারত কেন প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দিল, তা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে নানা আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অত্যাধুনিক ও বিধ্বংসী অস্ত্রের ব্যবহার এবং ট্রান্সফার নিয়ন্ত্রণে ঐতিহ্যবাহী অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তিগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই চুক্তিগুলির মাধ্যমে অস্ত্র ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয় যাতে যুদ্ধ ও সশস্ত্র সংঘর্ষে অপ্রয়োজনীয় ক্ষয়ক্ষতি বা বেসামরিক জনগণের উপর আঘাত না ঘটে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় জয়শঙ্করের বক্তব্য ব্লক করা হয়েছে কানাডায়, সরব বিদেশমন্ত্রক