মরিশাসে নতুন সংসদ ভবন নির্মাণ করবে ভারত। মরিশাস সফরের দ্বিতীয় দিনে পোর্ট লুইসে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, “আজ প্রধানমন্ত্রী নবীচন্দ্র রামগুলাম ও আমি ভারত-মরিশাস সম্পর্ককে ‘উন্নত কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এর মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই নতুন সংসদ ভবন হবে গণতন্ত্রের মাতৃভূমি ভারতের পক্ষ থেকে মরিশাসের জন্য একটি উপহার।”
প্রধানমন্ত্রী মোদী উল্লেখ করেন, ভারত ও মরিশাস শুধু ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে সংযুক্ত নয়, দুই দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যেও গভীর সংযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা একসঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছি। স্বাস্থ্য, মহাকাশ বা প্রতিরক্ষা—সব ক্ষেত্রেই আমরা পরস্পরের পাশে আছি।”
১৪০ কোটি ভারতীয়ের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী মরিশাসের জাতীয় দিবসে দেশটির জনগণকে শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, এই বিশেষ দিনে মরিশাসে থাকার সুযোগ পাওয়া তার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী মোদী মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ কুমার যুগনাথের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং দুই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধির বিষয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ করেন। পরে এক্স (প্রাক্তন টুইটার)-এ পোস্ট করে তিনি জানান, “মরিশাসের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রবীণ কুমার যুগনাথের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করলাম।”
এছাড়া, প্রধানমন্ত্রী মোদী মরিশাসের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলনেতা জর্জ পিয়েরে লেসজোঙ্গার্ডের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন এবং ভারত-মরিশাস বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীচন্দ্র রামগুলামের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে দুই দেশের বিশেষ সম্পর্ককে আরও উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ভারত মরিশাসের জন্য “বিশ্বাসযোগ্য ও মূল্যবান উন্নয়ন সহযোগী” হিসেবে গর্বিত এবং দুই দেশ একসঙ্গে গ্লোবাল সাউথের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করবে।
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী নবীচন্দ্র রামগুলামের আয়োজিত এক ভোজসভাতেও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ভারত ও মরিশাসের সম্পর্কের কোনও সীমা নেই এবং দুই দেশ পরস্পরের জনগণের উন্নয়ন এবং অঞ্চলটির শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য একসঙ্গে কাজ করবে।