মধ্যপ্রাচ্যে ফের যুদ্ধের দামামা। নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে কারণ ইরান এবং হামাস, হিজবুল্লাহর সঙ্গে মিলিত ভাবে তাদের গোষ্ঠীর একাধিক নেতাকে হত্যার কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। ইরানে হামাসের রাজনৈতিক বিভাগের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একটি আঞ্চলিক যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপ করেছে হিজবুল্লা। তাতে বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে, ইজরায়েল বলেছে নিজের বিখ্যাত ডোম সিস্টেম হিজবুল্লার নিক্ষেপ করা বেশিরভাগ রকেটকে আটকে দিয়েছে। ইজরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বেইট হিলেলের কাছে বেশ কয়েকটি রকেটকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় মিডিয়ার মতে, এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
হানিয়া হত্যার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করে ইরান বলেছে, তারা আশা করে যে হিজবুল্লা ইজ রায়েলের অভ্যন্তরে আরও গভীরে আঘাত হানবে। শুধু তাই নয়, এই নিশানা আর সামরিক লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। নতুন করে বলার নয়, প্রায় ১০ মাস ধরে ইয়েমেন, ইরাক এবং সিরিয়া থেকে হিজবুল্লা এবং অন্যান্য ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী ইতিমধ্যেই গাজায় ইজরায়েল এবং প্যালেস্তেনীয় সংগঠন হামাসের মধ্যে চলমান পুরনো যুদ্ধে জড়িত।
এমন পরিস্থিতিতে ইজরায়েল তার প্রতিপক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, যে কোনও “আগ্রাসন”-এর জন্য “খুব ভারী মূল্য চোকাতে হবে”। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইজরায়েল প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক উভয় পরিস্থিতির জন্য অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের প্রস্তুতি নিয়েছে।” পেন্টাগন বলেছে, তারা মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষা এবং ইজরায়েলকে রক্ষা করতে মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করছে।
এ দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স নিজেদের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে শক্তিশালী ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লার অবস্থানের জেরে এয়ারলাইনগুলি বিমান বাতিল করেছে। আঞ্চলিক পরিস্থিতির “দ্রুত অবনতি হতে পারে” বলে সতর্ক করেছেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ল্যামি। অন্য দিকে, কানাডা নাগরিকদের ইজরায়েলে ভ্রমণ এড়াতে সতর্ক করে বলেছে, আঞ্চলিক সশস্ত্র সংঘাত নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছে। ইজরায়েলে ভারতীয় নাগরিকদেরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।