তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং বেইরুটে লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লার একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরেরকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মার্কিন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেছেন, ইরান যদি ইজরায়েল আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে “দৃষ্টান্তমূলক” পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে৷
একই সঙ্গে, দোহা বা কায়রোতে ১৫ আগস্টের জন্য নির্ধারিত যুদ্ধবিরতি এবং পণবন্দিদের মুক্তি চুক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে জরুরি আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর এবং কাতার।
এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর, সম্ভাব্য বৃহত্তর সংঘাতের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জের যুক্তরাজ্য এবং মিশর তাদের এয়ারলাইনগুলির জন্য ইরান এবং লেবাননের আকাশসীমা এড়ানোর পরামর্শ জারি করতে বাধ্য করেছে।
মিশরের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক বুধবার নিশ্চিত করেছে যে তারা ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে। যাতে বলা হয়েছিল, “৭ আগস্ট তেহরানের সময় অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর আড়াইটা এবং ৮ আগস্ট ভোর সাড়ে ৪টে থেকে সকাল সাড়ে ৭টা আগস্ট ইরানের আকাশসীমায় সামরিক মহড়া পরিচালিত হবে”।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স তেল আবিবে নিজের ফ্লাইটগুলির বিরাজমান স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে ৩১ জুলাই পর্যন্ত উড়ান স্থগিত করা হয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য-সহ বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নাগরিকদের লেবানন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। চলমান সংঘাতের মধ্যে, ভারত পশ্চিম এশিয়ার পরিস্থিতিকে “চরম উদ্বেগের” বলে উল্লেখ করেছে। এর সঙ্গে সম্পর্কিত সকল পক্ষকে উত্তেজনা হ্রাস এবং সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে ভারত।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন যে প্রায় ৩ হাজার ভারতীয় নাগরিক লেবাননে এবং আরও ১০ হাজার ইরানে রয়েছে। সেখানে ভারতীয় দূতাবাস (লেবানন এবং ইরান) জনগণকে সতর্ক ও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। ভারত সরকার অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলি মোকাবিলা করতে এবং একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য সংলাপ এবং কূটনৈতিক আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।