ইরানের উপর আক্রমণ হলে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটতে বাধ্য হবে দেশটি। এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইয়ের উপদেষ্টা আলি লারিজানি। সোমবার রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমরা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাই না। তবে যদি আমেরিকা বা তার মিত্ররা ইরানের উপর হামলা চালায়, তখন আত্মরক্ষার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র বানানো ছাড়া উপায় থাকবে না।”
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ইরান পারমাণবিক চুক্তিতে না আসলে বোমাবর্ষণ করা হবে। ট্রাম্প আরও বলেন, ইরানের উপর “দ্বিতীয় শাস্তিমূলক শুল্ক” আরোপ করা হবে।
এই মন্তব্যের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দেন খামেনেই। তিনি বলেন, “মার্কিন হামলা হলে এর জবাব জোরালোভাবে দেওয়া হবে।” ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পের “যুদ্ধংদেহী উস্কানি”র নিন্দা করেন।
খামেনেই আরও বলেন, “তারা নষ্টামির হুমকি দিচ্ছে। যদি সেটা কার্যকর হয়, তবে পাল্টা আঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই সুইস দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করেছে। ইরানে আমেরিকার স্বার্থ রক্ষায় সুইজারল্যান্ড দূতাবাস দায়িত্বে রয়েছে।
ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কর্পসের (IRGC) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার জেনারেল আমিরালি হাজিজাদে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কাঁচের ঘরে বসে কেউ অন্যের দিকে পাথর ছুড়তে পারে না।” তিনি উল্লেখ করেন, “আমেরিকার অন্তত ১০টি ঘাঁটি ইরানের চারপাশে রয়েছে এবং সেখানে ৫০,০০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে।”
তবে পশ্চিমের দেশগুলোর দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। যদিও ইরান এই অভিযোগকে বারবার খারিজ করেছে। তেহরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কার্যক্রম শুধুমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত।