ফের সাজসাজ রব ইজরায়েল এবং তার মিত্রশক্তির। গত ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিল ইরান। তার পর কেটে গেছে প্রায় চার মাস। কিন্তু কদিন আগে একটি ঘটনা ফের নতুন করে ইরানকে প্রতিশোধের পথে ঠেলে দিয়েছে। আর তা হল হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যা।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্মীদের সুরক্ষা এবং ইজরায়েলকে রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান- সহ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা-সক্ষম ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ারেরও ব্যবস্থা করছে। সংবাদ সংস্থা এপি পেন্টাগনের কর্মকর্তাদের মন্তব্য উদ্ধৃত করে এমনটাই বলেছে।
ওই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, জো বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিত যে ইরান এই সপ্তাহান্তে দ্রুত ইজরায়েল আক্রমণ করতে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আশঙ্কা করছে যে হামলাটি ১৩ এপ্রিলের হামলার চেয়ে আরও বড়সড় এবং জটিল হতে পারে। সেবার সিরিয়ায় একটি বিমান হামলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। এপ্রিলে সিরিয়ায় ইজরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের দুই শীর্ষ সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছিল।
এর আগে জর্ডান এবং সৌদি আরব-সহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ থেকে সমর্থন পেয়েছিল ইজরায়েল। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। এ বার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে একই স্তরের সহযোগিতা পাওয়া কঠিন হতে পারে। কারণ এটা হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই ঘটনাকে মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ তীব্র নিন্দা করেছে।
তেহরানে হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইজরায়েলের উপর “সরাসরি হামলার” নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিন ইরানি কর্মকর্তার মন্তব্য উধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
হানিয়ার মৃত্যুর খবর ঘোষণার পরপরই ইরান বুধবার সকালে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকেছিল। কর্মকর্তাদের মতে, বৈঠকে খামেনি ইজরায়েলে হামলার নির্দেশ দেন। এই ধরনের বৈঠক শুধুমাত্র আপদকালীন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
বলে রাখা ভালো, মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কার মধ্যে, এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি মার্কিন এবং আন্তর্জাতিক এয়ারলাইন্স ইজরায়েলে বিমান চলাচল স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: হামাস প্রধান হত্যার পর ইজরায়েলে ‘সরাসরি’ হামলার নির্দেশ ইরানের খামেনির