পূর্ব গাজায় একটি স্কুল বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া গৃহহীন মানুষকে লক্ষ্য করে ইজরায়েলি হামলা! শনিবার প্যালেস্তাইনের সরকারি বার্তা সংস্থা WAFA-র রিপোর্ট উল্লেখ করে রয়টার্স জানিয়েছে, ওই হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছে। হামাস-চালিত গাজার সরকারি সংবাদ সংস্থার মতে, প্রার্থনা করার সময় এই হামলা ঘটে।
এক বিবৃতিতে সরকারি সংবাদ সংস্থা বলেছে, “ফজরের (ভোরের) নামাজ পড়ার সময় ঘরছাড়া লোকদের লক্ষ্য করে ইজরায়েলি হামলা চালানো হয়েছিল। এমন একটি সময়ে হামলা চালানোর ফলে হতাহতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।” হামলার আগে, সুনির্দিষ্ট যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার, আকাশে নজরদারি এবং গোয়েন্দা তথ্য সহ বেসামরিকদের ক্ষতির ঝুঁকি কমানোর জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি তাদের।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আইএএফ (ইজরায়েলি বিমান বাহিনী) আল-তাবাঈন স্কুলের আশ্রয় শিবিরে এবং দারাজ তুফাহের একটি মসজিদের পাশে অবস্থিত হামাস কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারের মধ্যে কর্মরত হামাস সদস্যদের টার্গেট করেছিল। এই জায়গাটি এখন গাজা শহরের বাসিন্দাদের জন্য আশ্রয়স্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয়। “
উল্লেখ্য, আগের সপ্তাহে গাজা জুড়ে চারটি স্কুলে হামলা চালানো হয় বলে দাবি। তার পর ফের নতুন এই হামলা চালানো হয়। গত অক্টোবরে প্যালেস্তেনীয় সংগঠনের বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করার পর থেকে ইজরায়েল গাজা জুড়ে স্কুল-সহ ভবনগুলিতে হামলা চালাচ্ছে। তাদের দাবি, “হামাস কমান্ড কন্ট্রোল সেন্টার” থেকে পরিচালিত প্রাঙ্গনে “সন্ত্রাসবাদী” রয়েছে।
প্রসঙ্গত, তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং বেইরুটে লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লার একজন সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকরেরকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্য ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের পর, উভয় তরফে চলছে হুশিয়ারি, পাল্টা হুশিয়ারি। সম্ভাব্য বৃহত্তর সংঘাতের ক্রমবর্ধমান আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার জের যুক্তরাজ্য এবং মিশর তাদের এয়ারলাইনগুলির জন্য ইরান এবং লেবাননের আকাশসীমা এড়ানোর পরামর্শ জারি করতে বাধ্য করেছে।