কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লিবারেল পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে রবিবার দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। তিনটি পৃথক সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রুডো এই সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগের ঘোষণা করতে পারেন।
কী সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন ট্রুডো?
সূত্রের দাবি, বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ককাস বৈঠকের আগেই ট্রুডো পদত্যাগের ঘোষণা করতে পারেন। তবে তিনি অবিলম্বে পদত্যাগ করবেন, নাকি দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে থাকবেন, তা স্পষ্ট নয়।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
লিবারেল পার্টির সংকটময় পরিস্থিতি
জাস্টিন ট্রুডো ২০১৩ সালে লিবারেল পার্টির দায়িত্ব নেন, সেই সময় দলটি সংসদে প্রথমবারের মতো তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছিল। তাঁর নেতৃত্বে দলটি পুনরায় শক্তিশালী হয়ে ক্ষমতায় ফিরে আসে। তবে সাম্প্রতিক জনমত সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, আসন্ন নির্বাচনে লিবারেল পার্টি বড় ব্যবধানে কনজারভেটিভ পার্টির কাছে পরাজিত হতে পারে।
ট্রুডোর পদত্যাগের সম্ভাবনা দলকে নেতৃত্বশূন্য অবস্থায় ফেলতে পারে, যা রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
নেতৃত্বের দৌড়ে নতুন মুখ
সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্লাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন যাতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে দায়িত্ব নেন। তবে, লেব্লাঁ নিজেই নেতৃত্বের দৌড়ে অংশ নিতে চাইলে এটি বাস্তবায়িত হবে না জানা যাচ্ছে।
নির্বাচনের সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট
ট্রুডোর পদত্যাগের পর দ্রুত নির্বাচন করার দাবি উঠতে পারে। কারণ, নতুন নেতৃত্ব দেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত হবে।
ট্রুডোর সম্ভাব্য পদত্যাগের খবর কানাডার রাজনৈতিক মহলে বড় সাড়া ফেলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।