কানাডার ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে চলেছেন মার্ক কার্নি। সোমবার লিবারেল পার্টির সভাপতি সচিত মেহরা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন যে, দলের নেতৃত্বের দৌড়ে বিজয়ী হয়েছেন প্রাক্তন ব্যাংক অফ কানাডার গভর্নর এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রধান মার্ক কার্নি।
বড় ব্যবধানে জয়
লিবারেল পার্টির নেতৃত্বের দৌড়ে কার্নি বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করেন। তিনি পেয়েছেন ১৩১,৬৭৪ ভোট, যা মোট ভোটের ৮৫.৯ শতাংশ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড পেয়েছেন ১১,১৩৪ ভোট, কারিনা গোল্ড পেয়েছেন ৪,৭৮৫ ভোট এবং ফ্রাঙ্ক বেলিস পেয়েছেন ৪,০৩৮ ভোট।
অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় পারদর্শী
মার্ক কার্নি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের সময় কানাডাকে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছিলেন। এরপর তিনি ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ফিনান্সিয়াল স্টেবিলিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে কানাডার অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল, যা তাঁকে দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিতি এনে দেয়।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কার্নি তার ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “আমরা ট্রাম্পকে সফল হতে দেব না এবং তা হতে দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “কানাডা কখনোই আমেরিকার অংশ হবে না। আমরা আমাদের অর্থনীতি ও সম্পদ রক্ষা করব।”
লিবারেল ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা
তাঁর বিজয় ভাষণে কার্নি জানান, তিনি কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জ্যাঁ ক্রেতিয়েনের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তিনি বলেন, “ক্রেতিয়েন আমাদের পরিবারকে লিবারেল বানিয়েছেন। এখন আমি তাঁর আর্থিক স্থিতিশীলতা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের ঐতিহ্য বজায় রাখার সুযোগ পাচ্ছি।”
নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনার প্রতিশ্রুতি
কার্নি জানান, তার সরকার একটি নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে, যা কানাডাকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে। পাশাপাশি তিনি “নির্ভরযোগ্য বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার” প্রতিশ্রুতি দেন।