অর্থনৈতিক সংকটে ভোগান্তির শেষ নেই পাকিস্তানের। রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছু সামাল দেওয়া গেলেও পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট এখনও দূর হয়নি। জাঁতাকলে পিষ্ট হতে হচ্ছে সেদেশের সাধারণ নাগরিকদের।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। জ্বালানি সংকট আর তারই সঙ্গে বিশ্বব্যাপী পণ্যের দামে ওঠানামার কারণ তো রয়েছেই। এমন পরিস্থিতিতে করাচির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে করুণ আর্তনাদ সাধারণ মানুষের। দিনমজুর অথবা শ্রমিক শ্রেণির মানুষের পক্ষে সাংসার টেনে নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের মুখে মুখে ঘুরছে দুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আগুনে দাম নিয়ে হা-হুতাশ।
মুদ্রাস্ফীতির কারণে পাকিস্তান জুড়ে নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনধারণ সংকটে পড়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, করাচিতে উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে দুধের দাম। বাকি সব পণ্যের দামেও ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত। এমন পরিস্থিতিতে পরিবার নিয়ে বেঁচেবর্তে থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। নাগরিকদের দাবি, এমন সংকট কাটাতে যথাযথ পদক্ষেপ নিক সরকার।
সম্প্রতি দুধের দাম লিটার প্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। করাচির কমিশনারের সঙ্গে ডেয়ারি মালিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোয় এখন এক লিটার দুধের দাম দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকায়। দুধের দাম বাড়তেই বেড়ে গিয়েছে সম্পর্কিত পণ্যগুলির দাম। এরই মধ্যে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি। বিদ্যুতের মূল মূল্যের জন্য অভিন্ন জাতীয় শুল্ক প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। গত বছরে যেখানে এক ইউনিট বিদ্যুতের দাম ছিল ২৭.৭৮ রুপি (পাকিস্তানের টাকা), সেটাই ১ জুলাই থেকে বেড়ে হবে ৩৫.৫০ রুপি।
এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ নাগরিকদের দাবি, যে সরকারই দেশ চালাক, যে ভাবেই সরকার গড়ুক না কেন, সাধারণ মানুষের কল্যাণেকে অগ্রাধিকার দেওয়া জরুরি। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, জনগণের দুর্দশায় সামান্যতম বিচলিত নয় ক্ষমতাসীন পাক সরকার। তারা শুধু ক্ষমতা ভোগ করতে ব্যস্ত!