বিদেশ
অবিশ্বাস্য! ‘মানুষের মুখ’ নিয়ে জন্ম নিল হাঙরের বাচ্চা
আশ্চর্যজনক এমনই একটি হাঙর বাচ্চার হদিশ মিলেছে, না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারবেন না।


ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রের মধ্যে ‘মানুষের মুখ’ওলা হাঙরের ছবি আপনার কাছে অবিশ্বাস্য ঠেকতেই পারে। কিন্তু আশ্চর্যজনক এবং অবাক করা এমনই একটি হাঙর বাচ্চার হদিশ মিলেছে। রূপান্তরের ফলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে ধারণা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কোথায় পাওয়া গেল?

ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র উপকূলে এক মৎস্যজীবী যখন প্রথম এই ‘মানুষের চেহারা’যুক্ত হাঙরের বাচ্চাটাকে দেখলেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
পূর্ব নুসা টেংগারা প্রদেশের রোট এনডাওয়ের কাছে আবদুল্লাহ নুরেন (৪৮) নামে এক ব্যক্তি ওই মিউট্যান্ট বাচ্চা হাঙরটিকে ধরেছিলেন।
তাঁর অজান্তেই একটি প্রাপ্তবয়স্ক হাঙর ধরা পড়ে ট্রলারের জালে। তবে সেটাকে যখন তিনি কাটলেন, দেখেন পেটের ভিতরে তিনটি বাচ্চা হাঙর রয়েছে।
একটির মুখ মানুষের মতো

ওই তিনটি বাচ্চার মধ্যে একটির চেহারা একে বারেই আলাদা। সেটার সঙ্গে মানুষের চেহারার অনেক মিল রয়েছে। দু’টি বৃহৎ গোলাকার চোখও রয়েছে সেটির। নুরেন বলেন, “দু’টো ছিল মায়ের মতো এবং একটার মুখ অনেকটাই মানুষের মতো”।
নুরেন ওই বাচ্চা হাঙ্গরটিকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে যান। এর পর সেটার সংরক্ষণে করেন। তিনি বলেন, প্রতিবেশীরা তাঁর কাছ থেকে ওই হাঙর বাচ্চাটাকে কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি রাজি হননি।
ডেইলি মেল-এর কাছে নুরেন বলেন, “ওই হাঙর বাচ্চাটিকে দেখতে আমার বাড়িতে মানুষের ভিড় উপছে পড়ছিল। অনেকেই বলেছিল, তাঁরা এটাকে কিনতে চান। কিন্তু আমি মনে করছি, এটা আমার কাছে সৌভাগ্যের প্রতীক”।
আরও পড়তে পারেন: এক দিন এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম, কারণটা জেনে নিন এখানে
বিদেশ
অ্যাস্ট্রাজেনেকা কোভিড ভ্যাকসিনের ব্যবহার স্থায়ী ভাবে বন্ধ করল ডেনমার্ক
কী এমন ঘটল, যে পাকাপাকি ভাবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ করে দিল ডেনমার্ক?


খবর অনলাইন ডেস্ক: বিরল তবে মারাত্মক পার্শপ্রতিক্রিয়ার কারণে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ডেনমার্ক। ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ইউরোপীয় ওষুধ নজরদারি সংস্থা এই ভ্যাকসিন ব্যবহার অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছে। তা সত্ত্বেও ডেনমার্কের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, “দেশের টিকাকরণ কর্মসূচি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ছাড়াই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে”।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার পরে রক্ত জমাট বাঁধার বিরল কিন্তু গুরুতর কিছু ঘটনার কথা শোনা যায় বেশ কিছু দেশে। যার জেরে কোনো কোনো দেশ এই টিকার ব্যবহার সাময়িক ভাবে স্থগিত করে। তবে পাকাপাকি ভাবে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল ডেনমার্ক।
জানা গিয়েছে, এক ডজনেরও বেশি দেশে সন্দেহজনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য উঠে আসে। ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি এটিকে “নিরাপদ এবং কার্যকর” বলে গণ্য করার পরে কয়েকটি দেশ ফের ব্যবহার শুরু করেছে। তবে ডেনমার্ক অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাংলো-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারকের তৈরি এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন ডেনমার্কের ১ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। তাঁদের মধ্যে দু’জনের ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার পরে রক্ত জমাট বাঁধার প্রমাণ মিলেছে। যা এই টিকার সঙ্গেই সম্পর্কযুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে।
ডেনমার্কের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৫৮ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে আট শতাংশ ইতিমধ্যে টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন। অন্য দিকে একটি করে ডোজ নিয়েছে ১৭ শতাংশ। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ার পর ডেনমার্ক ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা ব্যবহার চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়তে পারেন: এ বার ঘরে ঘরে কোভিড টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি, ৪৫ বছরের কম বয়সিরাও ভ্যাকসিন পেতে পারেন
বিদেশ
Covid Pandemic: অবহেলাই কাল হল, আরও অনেক পথ যেতে হবে, বললেন হু প্রধান
অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই হয়ে উঠছিলেন মানুষ। সংক্রমণের ভয়াবহতাকে উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল সেটাই কাল হয়ে উঠেছে


খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যেই ৭৮ কোটি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতেও লাগাম টানা যাচ্ছে না সংক্রমণে। বরং ভারত-সহ একাধিক দেশে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে সংক্রমণ। আর তাই ফের অতিমারী নিয়ে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
হু প্রধান তেড্রস আধানোম ঘেব্রেয়াসুস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) এই প্রসঙ্গেই বলেন, “করোনা বিদায় নিতে ঢের দেরি। কিন্তু একে দূর করার অস্ত্র আমাদেরই হাতে। সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকেই আরও সচেতন হতে হবে।” তবে হু প্রধান এমনও আশ্বাস দিয়েছেন যে যদি আবার নিজের জীবনযাপন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, তা হলে কয়েক মাসের মধ্যেই সংক্রমণে ফের লাগাম পড়বে।
২০১৯ সালে চিনের ইউহান শহরে প্রথমবার করোনাভাইরাস (Coronavirus) হানা দিয়েছিল। যেখানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ মানুষ। চলতি বছর জানুয়ারিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল করোনা। তার উপর টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর ক্রমেই করোনা মুক্তির পথে এগোচ্ছিল বিশ্ব।
আর এতেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই হয়ে উঠছিলেন মানুষ। সংক্রমণের ভয়াবহতাকে উপেক্ষা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছিল সেটাই কাল হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন ঘেব্রেয়াসুস। একটা বড়ো অংশের মানুষ মাস্ক পরাই বন্ধ করে দিয়েছেন। স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে শারীরিক দূরত্ববিধি, কিছুই আর মানা হচ্ছে না। আর এই কারণেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানাচ্ছে হু।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে জয়ের অন্যতম উপায় টিকাকরণ। কিন্তু একমাত্র উপায় নয়। আর সেই কারণেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, হাত ধোয়ার মতো নিয়মগুলি মানতে হবে। পাশাপাশি টেস্টিং ও ট্রেসিংয়ের কাজও চালিয়ে যেতে হবে। করোনা আক্রান্ত হলে কিংবা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে আইসোলেশন কিংবা কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া আবশ্যক।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
প্রযুক্তি
কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
সদর দফতরের একাংশকে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করছে ফেসবুক।


খবর অনলাইন ডেস্ক: টিকাকরণ অভিযানের গতি বাড়ানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সদর দফতরের একাংশকে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে (Covid vaccination site) রূপান্তরিত করছে বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুক (Facebook)।
শুক্রবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেনলো পার্কে (Menlo Park) সংস্থার সদর দফতরের একটি অংশে টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ একটি পোস্টে লিখেছেন, এই উদ্যোগে সংস্থা জোট বেঁধেছে রেভেনসউড ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের (Ravenswood Family Health Centre) সঙ্গে।
স্যান্ডবার্গ লিখেছেন, “আমরা ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশ প্রশাসন এবং স্থানীয় অলাভজনক সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রদেশের চারটি সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ টিকা দেওয়ার ক্লিনিকগুলিকে সহযোগিতা করার জন্য দল তৈরি করেছি”।
এ বছরের শুরুর দিকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা মার্কিন নাগরিকদের সুবিধায় কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ ‘টুল’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংস্থার ফোটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামেও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজও চলছে সমান তালে। অনুমোদনের আগে ভ্যাকসিনগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কেও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিবেদন তুলে ধরেছে সংস্থা।
আরও পড়তে পারেন: দিল্লিতে কোনো লকডাউন নয়, শীঘ্রই নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে: অরবিন্দ কেজরিওয়াল
-
রাজ্য2 days ago
স্বাগত ১৪২৮, জীর্ণ, পুরাতন সব ভেসে যাক, শুভ হোক নববর্ষ
-
কলকাতা2 days ago
মাস্ক থাকলেও কালীঘাট-দক্ষিণেশ্বরে শারীরিক দুরত্ব চুলোয়, গা ঘেষাঘেঁষি করে হল ভক্ত সমাগম
-
কোচবিহার2 days ago
Bengal Polls 2021: শীতলকুচির গুলিচালনার ভিডিও প্রকাশ্যে, সত্য সামনে এল, দাবি তৃণমূলের
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?