আর কোনো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নয়, শান্তির বার্তা দিয়ে ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

0

পিয়ংইয়ং: পরিস্থিতি যে পালটাচ্ছে সেটা মাস তিনেক ধরেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। অবশেষে এ যাবৎকালের সব থেকে বড়োসড়ো ঘোষণাটি করে দিল উত্তর কোরিয়া। জানিয়ে দিল, আর কোনো পারমাণবিক বা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তারা করবে না। সেই সঙ্গে তারা জানিয়েছে, তারা তাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কেন্দ্রটিও বন্ধ করে দিচ্ছে।

এমনই একটা দিনেরই অপেক্ষা করছিল ওয়াশিংটন। পিয়ংইয়ং-এর এই সিদ্ধান্তে তারা যে খুশি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সরকারি ভাবে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আগামী সপ্তাহেই চিরশত্রু তথা প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইনের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা উত্তরের শাসক কিমের। এর পর আরও একটি মহাবৈঠকের পরিকল্পনাও হয়েছে কিম এবং ট্রাম্পের মধ্যে। যদিও সেই বৈঠকের ব্যাপারে এখনও পাকা কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি কোনো দেশই।

গত বছর ঠিক এই সময়েই বারবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের মাথার ঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল পিয়ংইয়ং। তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি ওয়াশিংটন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে গত বছর শেষের দিকেই, যখন বারবার দুই কোরিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বের বার্তা দেন কিম।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করার কারণ হিসেবে কিম জানিয়েছেন, যে উদ্দেশ্যে তারা এই পরীক্ষা করছিলেন সেই উদ্দেশ্য সফল। ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় তাদের বড়ো জয় হয়েছে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।

এই ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই টুইটারে উত্তর কোরিয়াকে ধন্যবার জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, “উত্তর কোরিয়া এবং বিশ্বের কাছে এটা একটা খুব ভালো খবর। আমরা বৈঠকের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।”

উল্লেখ্য, এই বছরের শুরু থেকেই নিজেদের সুর অনেকটাই নরম করেছেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়াকে বারবার শান্তি এবং সৌহার্দের বার্তা দিয়েছেন তিনি। এটা শুরু হয়েছিল এই বছর শীতকালীন অলিম্পিকের আসর থেকে। এর পর দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যান কিমের বোন। এ সবের মধ্যেই একদিন কিম বার্তা দেন অতীতের তিক্ততা ভুলে আবার দুই কোরিয়ার এক হওয়ার।

শনিবারের উত্তর কোরিয়ার এই ঘোষণা যে বিশ্বের কূটনীতিতে একটা নতুন রাস্তা খুলে দেবে সেটা বলাই বাহুল্য।

বিজ্ঞাপন