বিজ্ঞান
অক্সফোর্ডের কোভিড ১৯ টিকা রোগ প্রতিরোধে ভালো সাড়া দিতে সক্ষম
কোনো কোনো টিকা গ্রহণকারীর কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে তবে প্যারাসিটামলের মতো ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা করা যাবে।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: করোনাভাইরাস (Coronavirus) ঠেকাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (Oxford University) এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা (AstraZeneca) যে টিকা (vaccine) তৈরি করেছে তা নিরাপদ এবং রোগ প্রতিরোধে ভালো সাড়া দিতে সক্ষম। কোনো কোনো টিকা গ্রহণকারীর কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হতে পারে তবে প্যারাসিটামলের মতো ব্যথা নিরাময়ের ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা করা যাবে।
মানবশরীরে এই কোভিড ১৯ (Covid 19) টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় দফার যে পরীক্ষা হয়েছিল (human trial) তারই ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট জার্নালে (The Lancet Journal)। এই পরীক্ষায় ১১০৭ জনের শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হয়। দেখা যায়, করোনাভাইরাস ঠেকাতে এই টিকা শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি ও টি সেল তৈরি করতে সক্ষম।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চিফ ইনভেস্টিগেটর অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেন, “আমাদের করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় দফার পরীক্ষা সংক্রান্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা থেকে জানা গিয়েছে, এই টিকা নিলে কোনো অপ্রত্যাশিত প্রতিক্রিয়া হয় না এবং এই ধরনের যে সব টিকা আগে থেকে আছে তাদের ক্ষেত্রে যে সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে হয়, এ ক্ষেত্রেও তা-ই।”
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আরও বেশি সাড়া পাওয়া যায়। প্রথম দু’ দফার ট্রায়ালে যাঁরা যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে এই দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ করে এই তথ্য সামনে এসেছে।
অক্সফোর্ডের সমীক্ষা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির মহামারি তত্ত্ববিদ এরিক ফাইগেল-ডিং বলেন, এই টিকায় কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই।
এই টিকা কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, এই টিকা নিরাপদ। তবে কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া আছে। তবে সেই সব পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া বিপজ্জনক নয়। ৭০ শতাংশ মানুষের হয় জ্বর বা মাথাব্যথা হতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্যারাসিটামলের সাহায্যে এই পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মোকাবিলা করা যাবে।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা গিলবার্ট বলেন, “এই টিকা যে কোভিড ১৯ অতিমারির পুরোপুরি মোকাবিলা করতে পারবে সেটা নিশ্চিত করে বলার আগে আরও অনেক কাজ করতে হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে যে ফল পাওয়া গিয়েছে তা খুবই আশাব্যঞ্জক।
বিজ্ঞান
এক দিন এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম, কারণটা জেনে নিন এখানে
চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। এখন আর এক দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা নয়। কী ভাবে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: শেষ অর্ধশতকের তুলনায় পৃথিবী যত দ্রুত গতিতে ঘুরছে, ততই কমছে এক দিনের সময়সীমা। অর্থাৎ, শেষ পাঁচ দশক ধরে পৃথিবীর আবর্তনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম!
ডেলি মেল -এর রিপোর্টে বলা বিজ্ঞানীদের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই চমকপ্রদ ঘটনাটির যথাযথ প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর আবর্তন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতির কারণেই বর্তমানে একটি দিনের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার চেয়ে “অতিসামান্য” ছোটো হচ্ছে।
২০২০-র থেকে ছোটো হবে ২০২১?

২০২০ সালে সব থেকে ছোটো দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ১৯৬০ সালের পর থেকে যা সব থেকে বেশি। এমনকী ২০২১ সাল আরও ছোটো হতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
সময় এবং তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌর দিনের সমান।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। ১৯৬০ সাল থেকে দিনের দৈর্ঘ্যের অতি-সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রেখে চলা পারমাণবিক ঘড়িগুলি পুরো বছর ধরে প্রায় ১৯ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধান তৈরি করবে।
কী ভাবে সময় কমছে

লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রেকর্ডে সব চেয়ে দ্রুততম ২৮টা দিন (১৯৬০ সাল থেকে) দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। কারণ, ওই দিনগুলিতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনগুলি গড়ের থেকে প্রায় মিলিসেকেন্ড সময় দ্রুত সম্পন্ন করে।”
পারমাণবিক ঘড়ির হিসেব অনুযায়ী, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টার (৮৬,৪০০ সেকেন্ড) চেয়ে কিছুটা কম সময় নিয়েছে।
ডেলি মেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই পৃথিবীতে সব চেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল (যেহেতু ওই দিনেই রেকর্ড শুরু হয়েছিল)। ওই দিনটি ছিল ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে সব থেকে ছোটো দিন রেকর্ড হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে গত বছরের ১২টি মাসে সেই রেকর্ড ২৮ বার ভেঙে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইন্টারন্য়াশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস (আইইআরএস) আনুষ্ঠানিক ভাবে পৃথিবীর একটি দিনের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি কি করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে কাজ করবে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমশ ছড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের শরীরে করোনার এই নতুন সংক্রামক রূপের সন্ধান মিললেও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রামক রূপটিতে কাজ করবে তো?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা

আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশে করোনার টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, নতুন স্ট্রেনটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি কাজ করবে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরছেন তাঁরা।
লন্ডনের এক গবেষক জেরেমি ফারার জানান, নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। ভ্যাকসিনও এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, ব্রিটেন থেকে আসা তথ্যগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে ভ্যাকসিনগুলি নতুন ভাইরাসটিকেও প্রতিহত করতে পারে। তবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করবে।
কেন এই প্রত্যাশা

কোনো জনসংখ্যা থেকে ভাইরাসগুলি খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে। পরিবর্তনগুলি সামান্য হলেও বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের গতিবিধি বা বিস্তার শনাক্ত করতে পারেন।
কিন্তু যদি কোনো ভাইরাস উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়, তা হলে সেটা একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনগুলি সে ভাবে সুরক্ষা দিতে পারে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোভি -১৯ ভ্যাকসিন পরিচালনমণ্ডলীর প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা মনসেফ স্লাওই বলেছেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি, এটা কোনো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না”।
একটি গবেষণা জানিয়েছে, মোডের্না, ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি তিনটি ভ্যাকসিন করোনার নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তবে ভাইরাস যদি বৃহত্তর চরিত্র বদল করে, তা হলে ভ্যাকসিন পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রের ভাইরাসের নতুন সংক্রামক রূপকে প্রতিহত করার ভ্যাকসিনের রদবদল ঘটাতে হবে। কিন্তু আপাতত তেমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
আরও পড়তে পারেন: আপনি যদি ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হন, তা হলেও কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আজ, সোমবার এক অসাধারণ মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছি আমরা। এ দিন সব থেকে কাছাকাছি চলে আসবে সৌরজগতের সব থেকে বড়ো দু’টি গ্রহ— বৃহস্পতি এবং শনি।
সোমবার এমনিতেই ২১ ডিসেম্বর, দক্ষিণায়ণ। এই দিনই দিন সব চেয়ে ছোটো থাকে এবং রাত সব চেয়ে দীর্ঘ হয়। আর এই দিনই ঘটতে চলেছে এই অসাধারণ ঘটনা। নাসা বলেছে, ১৬২৩ সালের পর এই প্রথম এত কাছাকাছি আসতে চলেছে সৌরমণ্ডলের প্রথম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ দু’টি।
জেনে নিন কিছু তথ্য
১) কলকাতায় আজ, সোমবার সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৪:৫৮-এ। সূর্যাস্তের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্তে দুই গ্রহকে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে।
২) তবে খুব কাছাকাছি থাকলেও দুই গ্রহের দূরত্ব ৭৩ কোটি কিলোমিটার।
৩) দু’টি গ্রহই থাকবে পরস্পরের থেকে ১/১০ ডিগ্রি দূরে।
৪) কলকাতায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬.৪৫ পর্যন্ত দু’টি গ্রহকে মোটামুটি স্পষ্ট দেখা যেতে পারে।
৫) টেলিস্কোপে বৃহস্পতির দু’একটি উপগ্রহও দেখা যেতে পারে।
৬) ২০৮০ সালের ১৫ মার্চ ফের এত কাছাকাছি চলে আসতে পারে দু’টি গ্রহ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশে নতুন সংক্রমণ ফের ২৫ হাজারের নীচে, কমল সংক্রমণের হারও
-
প্রবন্ধ3 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য
-
দেশ2 days ago
রবিবার পর্যন্ত করোনাহীন ছিল লাক্ষাদ্বীপ, পরের দু’ দিনে পজিটিভ ১৫
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
৯১ হাজার ফ্রেশার নিয়োগ করতে পারে বৃহত্তম চার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা
-
ক্রিকেট1 day ago
ঋদ্ধিমান তো বটেই, হায়দরাবাদে থেকে গেলেন বাংলার আরও এক ক্রিকেটার