নয়াদিল্লি: সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ২৩ আগস্ট ইউক্রেন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন। বছর দুয়েক আগে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটাই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম ইউক্রেনে সফর।
সম্প্রতি রাশিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই রাশিয়া সফর এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মোদীর এই ইউক্রেন সফর।
প্রায় এক মাস আগে, ইতালিতে জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তবে চলতি মাসের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী যখন রাশিয়া সফরে ছিলেন, তখন উভয় দেশ পারমাণবিক শক্তি ও জাহাজ নির্মাণ-সহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়। মস্কোতে হওয়া বৈঠকে আর্থিক লেনদেনের সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদীকে রাশিয়ার সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান প্রদানও করা হয়। দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যতিক্রমী ভূমিকার জন্য পুতিন ‘অর্ডার অব সেন্ট অ্যান্ড্রু দ্য অ্যাপোস্টল’ পুরস্কারে ভূষিত করেন মোদীকে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২২তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের জন্য পুতিনের আমন্ত্রণে ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দুদিনের সফরের জন্য মস্কো যান।
দু’বছরের বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ইউক্রেনে এই “বেআইনি যুদ্ধ” বন্ধ করতে রাজি করার জন্য সম্প্রতি ভারতকে মধ্যস্থতা করার আর্জি জানিয়েছে আমেরিকা। রাশিয়ার সঙ্গে নিজের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে কাজে লাগানোর জন্য আবারও ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
মোদীর রাশিয়া সফরের পর পরই একটি প্রেস ব্রিফিংয়ের সময়, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘকালের, এটি সর্বজনবিদিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে কথা বললে, আমরা ভারতকে রাশিয়ার সঙ্গে নিজের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক এবং তাদের অনন্য অবস্থান ব্যবহার করতে উৎসাহিত করেছি।” তবে সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে মোদীর এই ইউক্রেন সফর কিনা, সে সম্পর্কে কোনো তথ্য মেলেনি।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়ার সঙ্গে দীর্ঘকালের সম্পর্ককে কাজে লাগাক ভারত, চাইছে আমেরিকা