২০০৯-এর মে থেকে ২০১৬-র আগস্ট। পাক্কা সাত বছর তিন মাস পর ফের নেপালের প্রধানমন্ত্রী হলেন মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দহল, ওরফে প্রচণ্ড। বুধবার নেপাল সংসদে তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
রাজতন্ত্র অবসানের পর মাত্র আট বছরের সংসদীয় গণতন্ত্রে এই নিয়ে নবম বারের জন্য নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে নেপাল। গত ২৪ জুন পদত্যাগ করেন অষ্টম প্রধানমন্ত্রী খড়গপ্রসাদ ওলি। গত বছর অক্টোবরে প্রচণ্ডর মাওবাদীদের সমর্থনে সরকার গড়েন নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি (ইউনিফায়েড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট) দলের নেতা ওলি। কিন্তু এ বছর জুন মাসে ওলির দলের ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন প্রচন্ড। অন্য দিকে পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল নেপালি কংগ্রেসের সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যান তিনি। নেপালি কংগ্রেসের সমর্থনে নতুন সরকার গড়তে রাজি হন বর্ষীয়ান এই মাওবাদী নেতা। বুধবার সংসদে ছিল প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন। স্পিকার ওনসারি ঘারতি-সহ উপস্থিত ৫৭৩ জন সাংসদের মধ্যে ৩৬৩ জনের সমর্থন পান প্রচণ্ড। তাঁর বিপক্ষে পড়েছে ২১০টি ভোট। ওলির নেপালি কমিউনিস্ট পার্টি আর রাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র দলের সাংসদরা প্রচণ্ডর বিপক্ষে ভোট দেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় আখেরে লাভ হল ভারতের। প্রায় নয় মাস পর ফের একটি বন্ধু সরকার পেতে চলেছে ভারত। গত বছর ভারত-সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারী মধেসি সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছিলেন ওলি। ভারতের দাবি ছিল, মধেসিদের নেপালের রাজনীতির মূল স্রোতে নিয়ে আসা হোক। ভারতের এই দাবি না মেনে চিনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে শুরু করেন ওলি। তবে প্রচণ্ড প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার আগেই মধেসিদের উদ্দেশে আশাব্যঞ্জক বার্তা দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রচণ্ড বলেছেন, তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বে নেপালের বিদেশনীতিতে সামঞ্জস্য থাকবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।