ওয়েবডেস্ক: প্রায় আট দশকেরও বেশি সময় পর দেখা পাওয়া গিয়েছিল একটি বিলুপ্তপ্রায় ভারতীয় ধূসর নেকড়ের। কিন্তু পশু শিকারের জন্য গ্রামে ঢুকে পড়তেই ফাঁদ পেতে সেটিকে ধরে হত্যা করা হয় বলে রবিবার জানালেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের বরগুনার তালতলি উপজেলায়। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের মতে, ১৯৪৯ সালে এ ধরনের ধূসর নেকড়ে শেষ দেখতে পাওয়া যায় বাংলাদেশে।
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের লাগোয়া ওই এলাকায় দেখে মেলে নেকড়েটির। সে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এর পরে গ্রামবাসীরা ফাঁদ পেতে তাকে ধরে এবং হত্যা করে বলে জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ওয়াই ভি ঝালা জানান, নিহত নেকড়েটির ছবি থেকে আমরা নিশ্চিত যে এটি বিলুপ্তপ্রায় ভারতীয় ধূসর নেকড়ে প্রজাতির।
একই সঙ্গে তিনি জানান, ভারতে এখনও প্রায় তিন হাজারের মতো পশু রয়েছে। কিন্তু ১৯৪০ সাল থেকেই ধীরে ধীরে তারা উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম বাংলাদেশ থেকে ক্রমশ বিলীন হয়ে যায়।
খবর পেয়েই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম নিহত নেকড়েটির ডিএনএ নুমনা সংগ্রহ করেন। ওই এলাকা বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় আর এ ধরনের আর কোনো নেকড়ে রয়েছে কি না, তারই সন্ধান চালাচ্ছেন তিনি।
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, “এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে নেকড়েটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। তবে পরবর্তী অনুসন্ধান জারি থাকবে”।
[ স্কুলছাত্রীর তৎপরতায় বাঁচল চন্দ্রবোড়ার প্রাণ ]
প্রসঙ্গত, চলতি জুন মাসেই নেকড়েটিকে হত্যা করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের কাছে সেই ছবি পৌঁছানোর পরই চিহ্নিতকরণ সম্ভব হয়েছে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।