“রাশিয়া ১০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ১০০টি ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে।” সোমবার এমনটাই দাবি করলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি ছিল বৃহত্তম হামলাগুলির মধ্যে অন্যতম একটি। টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় ড্রোন আক্রমণের কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেছেন, “এই হামলায় শতাধিক বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। প্রায় একশজন ‘ শহিদ” হয়েছেন। রাশিয়ার হামলা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের আশ্রয়ের সন্ধানে মেট্রো স্টেশনে পর্যন্ত যেতে বাধ্য করেছে।
বিবিসির রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটির অর্ধেকেরও বেশি অঞ্চল আক্রমণের শিকার হওয়ার কারণে এর আগে কিয়েভ -সহ বেশ কয়েকটি শহর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। ইউক্রেনের অনেক শহরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে এবং জল সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহালের মতে, রাশিয়া শুধু ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রই নয় কিনঝাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করেছে, যেগুলো আটকানো অনেক কঠিন।
অন্যদিকে, রাশিয়া দাবি করেছে যে তারা গুরুতর পরিকাঠামোতে আঘাত করার জন্য নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই হামলায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে জল এবং বিদ্যুৎ পরিকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে ইউক্রেন গত ৬ আগস্ট কুরস্ক অঞ্চলে তার আন্তঃসীমান্ত আক্রমণ শুরু করে। তখন থেকে রাশিয়ার এক হাজার বর্গ কিমি ৩৮৬ বর্গ মাইল) ভূমি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি করেছে ইউক্রেন।
আধুনিক অস্ত্র সজ্জিত আনুমানিক ১০ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য দুর্বলভাবে সুরক্ষিত সীমান্ত জুড়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এই বছর এখনও পর্যন্ত রাশিয়া যতটা জিতেছিল তার চেয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই বেশি জায়গা দখল করেছে ইউক্রেনে।যুদ্ধ তীব্র হওয়ায় কয়েক হাজার রুশ বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার ভূখণ্ডে ইউক্রেনের আক্রমণের প্রায় তিন সপ্তাহের মধ্যে ফের রুশ হামলার খবর মিলল।