রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন না কি কার্যত পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন! ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন রকমের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, নিজের পায়ে ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট। যে কারণে চিকিৎসকরা তাঁকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছেন।
গত রবিবার ক্রেমলিনে একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অংশ নেন রুশ প্রেসিডেন্ট। নিউ ইয়র্ক পোস্ট-এর সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেখানে পুরস্কার দেওয়ার সময় তাঁর হাত-সহ গোটা শরীর কাঁপছিল। এমনকী তিনি নিজের পায়ে দাঁড়াতেও পারছিলেন না। জেনে নেওয়া যাক, কোন রাষ্ট্রনেতা কোন রোগে আক্রান্ত?
পুতিনের ক্যানসার
পুতিনের এই কাঁপুনি রোগের খবর নতুন নয়। কয়েক সপ্তাহ আগেই শোনা গিয়েছিলে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন না কি কর্কট রোগে আক্রান্ত। একটি অনলাইন সংবাদসংস্থা অন্তত তেমনই দাবি করেছিল। তারা এমনও জানিয়েছিল, শীঘ্রই রুশ রাষ্ট্রপ্রধানকে ক্যানসার সারাতে অস্ত্রোপচারও করাতে হতে পারে। আবার এমনটাও শোনা যায়, পুতিন স্নায়ুর রোগ পারকিনসন্সে আক্রান্ত। এ রোগে হাতে অস্বাভাবিক কাঁপুনি লক্ষ্য করা যায়।
জিনপিংয়ের সেরিব্রাল
মস্তিষ্কের জটিল অসুখে আক্রান্ত চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। কয়েক মাস আগে এমনই চাঞ্চল্যকর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। শোনা যায়, মস্তষ্কের গুরুতর অসুখে ভুগছেন তিনি। রোগের নাম ‘সেরিব্রাল অ্যানুরিজম’ বা ‘ব্রেন অ্যানুরিজমে’। তবে অস্ত্রোপচার নয়, রোগ সারাতে প্রাচীন কিছু চৈনিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
কিমের ডায়াবেটিস
সাউথ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল এর আগে। সে সময় তিনি প্রায় মাসখানেক ধরে জনসাধারণের নজর থেকে অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিলেন। ফিরে আসতে দেখা যায় ওজন কমিয়ে ফেলেছেন অনেকটাই। কিম না কি ২০ কেজির বেশি ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হয়েছেন। তিনি সুস্থ। তবে পরিবারের সদস্যদের অনেকেরই হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। অত্যধিক ওজন বাড়তি চিন্তার কারণ।
রেগনের অ্যালঝাইমার
১৯৯৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন অ্যালঝাইমার রোগে আক্রান্ত হন। বছর দশেক বাদে তাঁর মৃত্যু হয়। এই রোগের কারণেই জটিল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রেগন মারা যান ২০০৪ সালের ৫ জুন। আরেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি অ্যাডিসন’স রোগ বা অটোইমিউন পলিএন্ডোক্রাইন সিনড্রোম টাইপ ২-এর মতো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে। যুক্তরাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল দু’বার স্ট্রোকের শিকার হন।