বিজ্ঞান
মঙ্গলগ্রহের বুকে আরও তিনটে হ্রদের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলের জলাধারে জলের তাপমাত্রা -১০ থেকে -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে মঙ্গলগ্রহে (Mars) বরফের আস্তরণের নীচে একটি বড়ো হ্রদের সন্ধান পেয়েছিলেন গবেষকরা। এ বার তাঁরা খুঁজে পেলেন আরও তিনটি হ্রদ। ‘নেচার অ্যাস্ট্রোনমি’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে তেমনটাই জানা গিয়েছে।
এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত অন্যতম গবেষক রোম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রহ বিজ্ঞানী এলিনা পেত্তিনেল্লি জানাচ্ছেন, ‘‘আমরা ওই বড়ো হ্রদটি আগেই পেয়েছিলাম। কিন্তু এ বার ওটার কাছাকাছি আরও তিনটি হ্রদের সন্ধান পেয়েছি।’’
গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওই চারটি জলাশয় ৭৫ হাজার বর্গকিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। বড় হ্রদটি ৩০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত। তাকে ঘিরে রয়েছে বাকি তিনটি হ্রদ।
ভূগর্ভস্থ এই জলাশয়গুলির আবিষ্কারের পর মঙ্গল নিয়ে গবেষণা নতুন দিকে মোড় নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবিষ্কারের পর সেই পুরনো প্রশ্ন আবার ফিরে আসতে পারে। তা হলে কি মঙ্গলে প্রাণের সন্ধান মিলতে পারে?
বিজ্ঞানীদের ধারণা, মঙ্গলের জলাধারে জলের তাপমাত্রা -১০ থেকে -৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই ঠান্ডায় হ্রদের জল তরল থাকার অর্থ তাতে প্রচুর লবণ রয়েছে। ব্রিটেনের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. ক্লেয়ার কাজিনস বছর দুই আগে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলছিলেন, “এমন ঠান্ডা আর লবনাক্ত জলে প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।”
তবে, গবেষকরা জলের উপস্থিতি নিশ্চিত করার পর, মঙ্গলগ্রহে প্রাণের সন্ধান নিয়ে গবেষণায় যে গতি পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দু’সপ্তাহ আগে উত্তরপ্রদেশে গণধর্ষিতা হয়েছিলেন, দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু সেই তরুণীর
বিজ্ঞান
এক দিন এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম, কারণটা জেনে নিন এখানে
চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করলেন বিজ্ঞানীরা। এখন আর এক দিনের দৈর্ঘ্য ২৪ ঘণ্টা নয়। কী ভাবে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: শেষ অর্ধশতকের তুলনায় পৃথিবী যত দ্রুত গতিতে ঘুরছে, ততই কমছে এক দিনের সময়সীমা। অর্থাৎ, শেষ পাঁচ দশক ধরে পৃথিবীর আবর্তনের গতি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই গ্রহটির প্রতিটা দিনের মেয়াদ এখন ২৪ ঘণ্টার থেকেও কম!
ডেলি মেল -এর রিপোর্টে বলা বিজ্ঞানীদের মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই চমকপ্রদ ঘটনাটির যথাযথ প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর আবর্তন স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতির কারণেই বর্তমানে একটি দিনের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক ২৪ ঘণ্টার চেয়ে “অতিসামান্য” ছোটো হচ্ছে।
২০২০-র থেকে ছোটো হবে ২০২১?

২০২০ সালে সব থেকে ছোটো দিনের সংখ্যা ছিল ২৮টি। ১৯৬০ সালের পর থেকে যা সব থেকে বেশি। এমনকী ২০২১ সাল আরও ছোটো হতে পারে বলে পূর্বাভাস মিলেছে।
সময় এবং তারিখ অনুযায়ী, সূর্যের প্রতি গড় হিসাবে পৃথিবী প্রতি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডে একবারে ঘোরে, যা ২৪ ঘণ্টা বা একটি অর্থ সৌর দিনের সমান।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০২১ সালের গড় দিনটি ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের চেয়ে ০.০৫ মিলি সেকেন্ড কম হবে। ১৯৬০ সাল থেকে দিনের দৈর্ঘ্যের অতি-সুনির্দিষ্ট রেকর্ড রেখে চলা পারমাণবিক ঘড়িগুলি পুরো বছর ধরে প্রায় ১৯ মিলিসেকেন্ডের ব্যবধান তৈরি করবে।
কী ভাবে সময় কমছে

লাইভ সায়েন্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “রেকর্ডে সব চেয়ে দ্রুততম ২৮টা দিন (১৯৬০ সাল থেকে) দেখা গিয়েছিল ২০২০ সালে। কারণ, ওই দিনগুলিতে পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে ঘূর্ণনগুলি গড়ের থেকে প্রায় মিলিসেকেন্ড সময় দ্রুত সম্পন্ন করে।”
পারমাণবিক ঘড়ির হিসেব অনুযায়ী, গত ৫০ বছর ধরে পৃথিবী একটি ঘূর্ণন সম্পন্ন করতে ২৪ ঘণ্টার (৮৬,৪০০ সেকেন্ড) চেয়ে কিছুটা কম সময় নিয়েছে।
ডেলি মেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯২০ সালের ২০ জুলাই পৃথিবীতে সব চেয়ে সংক্ষিপ্ত দিনটি রেকর্ড করা হয়েছিল (যেহেতু ওই দিনেই রেকর্ড শুরু হয়েছিল)। ওই দিনটি ছিল ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ১.৪৬০২ মিলি সেকেন্ড কম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালের আগে সব থেকে ছোটো দিন রেকর্ড হয়েছিল ২০০৫ সালে। তবে গত বছরের ১২টি মাসে সেই রেকর্ড ২৮ বার ভেঙে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ইন্টারন্য়াশনাল আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস (আইইআরএস) আনুষ্ঠানিক ভাবে পৃথিবীর একটি দিনের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করে।
আরও পড়তে পারেন: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি কি করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে কাজ করবে?

খবর অনলাইন ডেস্ক: ক্রমশ ছড়াচ্ছে করোনার নতুন স্ট্রেন। ভারতে এখনও পর্যন্ত ছ’জনের শরীরে করোনার এই নতুন সংক্রামক রূপের সন্ধান মিললেও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে একটা প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনগুলি করোনাভাইরাসের নতুন সংক্রামক রূপটিতে কাজ করবে তো?
বিশেষজ্ঞদের ধারণা

আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো বেশ কয়েকটি দেশে করোনার টিকাকরণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, নতুন স্ট্রেনটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনগুলি কাজ করবে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষানিরীক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরছেন তাঁরা।
লন্ডনের এক গবেষক জেরেমি ফারার জানান, নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত হলেও সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব। ভ্যাকসিনও এর বিরুদ্ধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্টনি ফাউসি বলেছেন, ব্রিটেন থেকে আসা তথ্যগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে ভ্যাকসিনগুলি নতুন ভাইরাসটিকেও প্রতিহত করতে পারে। তবে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও পরীক্ষার মাধ্যমে তা নিশ্চিত করবে।
কেন এই প্রত্যাশা

কোনো জনসংখ্যা থেকে ভাইরাসগুলি খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে নিজেদের পরিবর্তন করতে পারে। পরিবর্তনগুলি সামান্য হলেও বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের গতিবিধি বা বিস্তার শনাক্ত করতে পারেন।
কিন্তু যদি কোনো ভাইরাস উল্লেখযোগ্য ভাবে পরিবর্তিত হয়, তা হলে সেটা একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনগুলি সে ভাবে সুরক্ষা দিতে পারে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোভি -১৯ ভ্যাকসিন পরিচালনমণ্ডলীর প্রধান বিজ্ঞান উপদেষ্টা মনসেফ স্লাওই বলেছেন, “আমরা প্রত্যাশা করছি, এটা কোনো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে না”।
একটি গবেষণা জানিয়েছে, মোডের্না, ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার তৈরি তিনটি ভ্যাকসিন করোনার নতুন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তবে ভাইরাস যদি বৃহত্তর চরিত্র বদল করে, তা হলে ভ্যাকসিন পরিবর্তনেরও প্রয়োজন হতে পারে। সে ক্ষেত্রের ভাইরাসের নতুন সংক্রামক রূপকে প্রতিহত করার ভ্যাকসিনের রদবদল ঘটাতে হবে। কিন্তু আপাতত তেমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
আরও পড়তে পারেন: আপনি যদি ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হন, তা হলেও কি ভ্যাকসিন নিতে হবে?

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আজ, সোমবার এক অসাধারণ মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছি আমরা। এ দিন সব থেকে কাছাকাছি চলে আসবে সৌরজগতের সব থেকে বড়ো দু’টি গ্রহ— বৃহস্পতি এবং শনি।
সোমবার এমনিতেই ২১ ডিসেম্বর, দক্ষিণায়ণ। এই দিনই দিন সব চেয়ে ছোটো থাকে এবং রাত সব চেয়ে দীর্ঘ হয়। আর এই দিনই ঘটতে চলেছে এই অসাধারণ ঘটনা। নাসা বলেছে, ১৬২৩ সালের পর এই প্রথম এত কাছাকাছি আসতে চলেছে সৌরমণ্ডলের প্রথম এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ দু’টি।
জেনে নিন কিছু তথ্য
১) কলকাতায় আজ, সোমবার সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৪:৫৮-এ। সূর্যাস্তের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিগন্তে দুই গ্রহকে খুব কাছাকাছি দেখা যাবে।
২) তবে খুব কাছাকাছি থাকলেও দুই গ্রহের দূরত্ব ৭৩ কোটি কিলোমিটার।
৩) দু’টি গ্রহই থাকবে পরস্পরের থেকে ১/১০ ডিগ্রি দূরে।
৪) কলকাতায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৬.৪৫ পর্যন্ত দু’টি গ্রহকে মোটামুটি স্পষ্ট দেখা যেতে পারে।
৫) টেলিস্কোপে বৃহস্পতির দু’একটি উপগ্রহও দেখা যেতে পারে।
৬) ২০৮০ সালের ১৫ মার্চ ফের এত কাছাকাছি চলে আসতে পারে দু’টি গ্রহ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশে নতুন সংক্রমণ ফের ২৫ হাজারের নীচে, কমল সংক্রমণের হারও
-
রাজ্য18 hours ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
দেশ2 days ago
মহারাষ্ট্র-কেরলে সংক্রমিত ৮০৮৬ বাকি দেশে মাত্র ৫০৭২, ২৩ মে’র পর সব থেকে কম দৈনিক মৃত্যু ভারতে
-
রাজ্য2 days ago
দক্ষিণবঙ্গে দু’ দিনের জন্য তাপমাত্রা বাড়লেও ফের ফিরবে শীত, উত্তরের পাহাড়ে তুষারপাতের সম্ভাবনা
-
ফুটবল2 days ago
এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট খোয়াল এটিকে মোহনবাগান