খবর অনলাইন ডেস্ক: ২০২৪-এ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার লেখিকা হান কাং। মানবজীবন যে কত ভঙ্গুর, সেই জীবনে যে কত মানসিক ক্ষত রয়েছে সে কথাই বারবার উঠে এসেছে হানের কাব্যময় গদ্যে। এই কারণে তাঁকেই এবার নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল বলে নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়েছে। এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো লেখক সাহিত্যে নোবেল পেলেন।
পুরস্কারবাবদ সুইডেনের অ্যাকাডেমির তরফে ১১ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (১১ লক্ষ আমেরিকান ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় ৯ কোটি টাকারও বেশি) দেওয়া হবে তাঁকে। ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে এক অনুষ্ঠানে হান কাংয়ের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে জন্ম হান কাংয়ের। একটু বড়ো হয়ে চলে আসেন রাজধানী সোলে। বাবাও ছিলেন নামকরা ঔপন্যাসিক। ২৩ বছর বয়সে ১৯৯৩-তে হানের সাহিত্যজীবন শুরু, ‘মুনহাক-গুয়া-সাহো’ (লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি) ম্যাগাজিনে শীত সংখ্যায় কয়েকটি কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে। তার মধ্যে ছিল ‘উইন্টার ইন সোল’ কবিতাটিও।
গদ্য লিখতে শুরু করেন তার পরের বছরেই। ঔপন্যাসিক হানের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। সেই সংকলনের নাম ছিল ‘ইয়োসু’। তখন থেকেই হান তাঁর কবিতা-গল্প-উপন্যাস লেখা চালিয়ে যান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ফ্রুটস অফ মাই ওম্যান’ (২০০০), ‘স্যালাম্যান্ডার’ (২০১২)-এর মতো ছোটগল্প সংকলন, ‘ব্ল্যাক ডিয়ার’ (১৯৯৮), ‘ইওর কোল্ড হ্যান্ডস’ (২০০২), ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (২০০৭), ‘ব্রিদ ফাইটিং’ (২০১০)-এর মতো উপন্যাস। তিন খণ্ডে লেখা ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ উপন্যসের জন্য হান কাং ২০১৬ সালে বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন।