খবর অনলাইন: সবাই কালো পাঞ্জাবি পরে। মাথায় আরবিদের মতো ফেটি বাঁধা। একই কায়দায় অস্ত্র ধরা, হাসি মুখে তাকিয়ে ক্যামেরার দিকে। অস্ত্রটি ধরা আছে পেশাদারের ভঙ্গিতে। হাতের আঙুল বন্দুকের ট্রিগারের কাছে। তাদের পিছনে কালো ব্যানারে আরবি ভাষায় কিছু লেখা। গুলশনের রেস্তোরাঁয় হানাদার জঙ্গিদের এই ছবিই প্রকাশ করেছে আইএস। এই ছবিগুলোর সঙ্গে মিল আছে, এ রকম বেশ কিছু ছবিও ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেটে। তার পর সেই সব ছবি আইএসের দেওয়া ছবির পাশাপাশি বসিয়ে সেগুলো শেয়ার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাদের সহপাঠীরা তাদের শনাক্ত করে নানা রকম তথ্য দিচ্ছেন। এ ভাবেই গুলশনের রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের পরিচয় ক্রমশই বেরিয়ে আসছে।
রেস্তোরাঁয় কমান্ডো অভিযানের সময় ছ’ জন হামলাকারী নিহত হয়েছে। এক জন ধরা পড়েছে। সে নিরাপত্তাবাহিনীর হেফাজতে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এরা সবাই সচ্ছল পরিবারের সন্তান, উচ্চশিক্ষিত, বেসরকারি স্কুলে লেখাপড়া করেছে। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও বলেছেন, এরা ধনী পরিবারের সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয়-পড়ুয়া। তিনি দাবি করেছেন, তথাকথিত আইএসের সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নেই। এরা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ বা জেএমবি’র সদস্য। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, “একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই। বাংলাদেশে কোনও আইসিস বা আল কায়দার অস্তিত্ব বা উপস্থিতি নেই। হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় জঙ্গি, এরা আইসিস বা কোনও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য নয়।” প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা হোসেন তৌফিক ইমাম বলেন, যে ভাবে পণবন্দিদের হত্যা করা হয়েছে, তাতে বোঝা যায়, এটা স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র কাজ। এদের সঙ্গে জামাত আর পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের যোগ আছে। এরা দেশের বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়।
এ দিকে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে বাংলাদেশে দু’ দিন ধরে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
ছবি: সৌজন্যে বিবিসি
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।