নয়াদিল্লি : আমাদের বাসগ্রহ এই পৃথিবী। প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে তার স্বাভাবিক রূপ। এই পরিবর্তনের পেছনে রয়েছে নানা কারণ। রয়েছে নাগরিক জীবনের ক্রম বিকাশ, মানুষের ক্রিয়াকলাপ, আবহাওয়ার পরিবর্তন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আবার এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ও নানা রূপে পৃথিবীর ওপর তার করাল থাবা বসিয়েছে। রয়েছে বন্যা, খরা, ধস, ভূমিকম্প, দাবানল ইত্যাদি। কিন্তু তা সত্ত্বেও পৃথিবী এত সুন্দর।
পৃথিবীর এই পরিবর্তনের নানা দিক আমাদের সামনে তুলে ধরেছে নাসা। পৃথিবীর সুরক্ষার স্বার্থে আর আগামী দিনে যাতে মানুষ সচেতন হয় সে জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে নাসা। এই উদ্দেশ্যেই মহাকাশের নানা জায়গা থেকে নানা সময়ে ছবি তুলেছে সংস্থাটি। ছবিতে ধরা পড়েছে পরিবর্তনের নানা রূপ।
আসুন দেখি —-
জনসংখ্যার বৃদ্ধি সবুজের নাশ, দিল্লি-
১৯৯১ থেকে ২০১৬ এই ২৫ বছরে দিল্লির জনসংখ্যা ৯৫ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে আড়াইশো লক্ষ।
খরায় শুকিয়েছে বিশাল লবণহ্রদ, উটা-
১৯৮৫-তে যে লবণহ্রদ বরফগলা আর বৃষ্টির জলে পুষ্ট হত, ২০১০ সালে তা খরায় প্রায় শুকিয়ে গেছে।
সময়ের আগেই বরফ গলছে, গ্রিনল্যান্ড-
গোটা গ্রিনল্যান্ড ররফে ঢাকা থাকে। বসন্তে বা গরমের শুরুতে ধীরে ধীরে বরফ গলে নদী, নালা, হ্রদ সব আত্মপ্রকাশ করে। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে ২০১৬তে তার অনেক আগেই বরফ গলে গেছে।
হ্রদের রঙের বদল ঘটল, ইরান-
জলজ উদ্ভিদ, শ্যাওলা আর ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবে মাত্র তিন মাসে ইরানের উরমিয়া হ্রদের রঙ সবুজ থেকে ক্রমশ পুরো লাল হয়ে গেছে। বিশেষত গ্রীষ্মে এই পরিবর্তন ভালো বোঝা যায়। তা ছাড়া গত ১৪ বছরে এর আকৃতিও ক্রমশ ছোটো হয়ে গেছে।
বনজঙ্গল উধাও, নাইজার-
১৯৭৬ থেকে ২০০৭ সাল, এই ৩১ বছরে বাবান রফি জঙ্গল প্রায় সাফ হয়ে গেছে। কারণ এই এলাকায় জনবসতি বেড়েছে চার গুণ।
নদীতে জলাভাব, মেক্সিকো-
১৯৮৫-র ছবিতে- কলোরাডো নদী সেই সময় জলে উপচে যেত। কিন্তু ২০০৭ সালে ওই নদীতে বিপুল জলাভাব।
হ্রদ একেবারে শুকিয়ে খটখটে, বলিভিয়া-
বলিভিয়ার হ্রদ পোপো। স্থানীয় ভাবে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। খরা আর কৃষি কাজের জন্য জল টেনে নেওয়ার কারণে একেবারে শুকিয়ে গেছে পোপো।
বন্যায় মৃত্যু হচ্ছে শতাধিক, ভারত-
মাত্র এক বছরেই গঙ্গা নদীর আগ্রাসন বেড়ে গেছে বহুগুণ। ২০১৬ সালে বন্যার ফলে ৩০০ মানুষের সলিল সমাধি হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত গয়েছে ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া পাটনার কাছে নদীর পরিসরও বেড়েছে অনেকটা।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, যে হারে পৃথিবীর জলস্তর বাড়ছে ও বিশুদ্ধ জলের পরিমাণ কমছে তাতে প্রাণীজগতের সমুহ বিপদ আসন্ন। তাই পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই দরকার সর্বস্তরের সচেতনতা। তার জন্য দরকার বিশ্ব জুড়ে কিছু সঠিক পদক্ষেপ।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।