লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে তৈরি হল অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। সেনা নামিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, কেউ যদি সেনা বা পুলিশ অফিসারদের মুখে থুতু ফেলে, তার ‘ভয়ঙ্কর ফল’ হবে। তাঁর কথায়, “They spit, we hit!”
নিউ জার্সির একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে অন্তত ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। অভিবাসন রেড বা ধরপাকড়ের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়।
মারিয়াচি প্লাজা থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি ফেডারেল ইমিগ্রেশন ডিটেনশন সেন্টারের দিকে মিছিল করেন বিক্ষোভকারীরা। তাঁরা “ICE out of LA” স্লোগান দিতে থাকেন।
এমন পরিস্থিতিতে কোনও রকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা টিয়ার গ্যাস ও পেপার বল ছুড়ে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন বলে দাবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে একাধিক ভিডিও যেখানে ধোঁয়ার কুন্ডলিতে ঢেকে গেছে রাস্তা।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, শনিবার অন্তত ২৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ মুখপাত্র নর্মা আইসেনম্যান জানালেন, বিক্ষোভকারীদের এলাকা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকে অমান্য করেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য— সহ-রাষ্ট্রপতি জেডি ভ্যান্স এবং উপদেষ্টা স্টিফেন মিলার এই বিক্ষোভকে ‘বিদ্রোহ’ আখ্যা দিয়েছেন।
তবে এখনো পর্যন্ত ১৮০৭ সালের Insurrection Act প্রয়োগ করেননি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই আইন অনুযায়ী, প্রয়োজনে গৃহবিক্ষোভ সামাল দিতে সেনাবাহিনী ব্যবহার করতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, “এটা নির্ভর করছে ঘটনাস্থলে কী হচ্ছে, তার উপর। গতকাল রাতের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত।”
.@POTUS on the LA riots: "They spit, we hit." 🔥 pic.twitter.com/dXqxAqLyzv
— Rapid Response 47 (@RapidResponse47) June 8, 2025
মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ জানিয়েছেন, ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাম্প পেন্ডলটনের মেরিন সেনারা ‘হাই অ্যালার্টে’ রয়েছেন। পরিস্থিতি না থামলে সক্রিয় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আমেরিকায় নাগরিক অধিকারের প্রশ্ন, অভিবাসন নীতি এবং সামরিক হস্তক্ষেপের মাত্রা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।