ইউক্রেন আবারও চমকে দিল বিশ্বের সামরিক বিশেষজ্ঞদের। ইতিহাসের অন্যতম দুঃসাহসিক ড্রোন হামলায় তারা আঘাত হানল রাশিয়ার গভীরে থাকা পাঁচটি বিমান ঘাঁটিতে, যার মধ্যে একটি রয়েছে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৮,০০০ কিমি দূরে! ইউক্রেন এই অপারেশনের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’।
লক্ষ্যবস্তু ৫টি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটি:
- বেলায়া বিমানঘাঁটি, ইরকুটস্ক, সাইবেরিয়া – ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ৪,৫০০ কিলোমিটার দূরে
- ওলেনিয়া বিমানঘাঁটি, মুরমানস্ক, আর্কটিক অঞ্চল – প্রায় ২,০০০ কিলোমিটার দূরে
- ইভানোভো সেভারনি বিমানঘাঁটি, ইভানোভো – প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে
- দ্যাগিলেভো বিমানঘাঁটি, রিয়াজান – প্রায় ৫২০ কিলোমিটার দূরে
- ইউক্রাঙ্কা বিমানঘাঁটি, রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য – প্রায় ৮,০০০ কিলোমিটার দূরে
এই বিমানঘাঁটিগুলিতে রাশিয়া কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, Tu-160 এবং Tu-95 বোমারু বিমানের ওপর টায়ার চাপানো ছিল—এটি ছিল ড্রোন আক্রমণ ঠেকানোর প্রচেষ্টা। এমনকি টারমাকে ভুয়ো বিমানের ছবি আঁকা হয়েছিল শত্রুদের বিভ্রান্ত করতে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি।
ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকেছে, ধ্বংস হয়েছে যুদ্ধবিমান:
Belaya ঘাঁটির ভিডিওতে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গিয়েছে, যা প্রমাণ করে সেখানে সঠিকভাবে ড্রোন হামলা করা হয়েছে। Olenya ঘাঁটিতে Tu-22 এবং Tu-95 যুদ্ধবিমান ছিল। Tu-95 হল রাশিয়ার পারমাণবিক সক্ষম বোমারু বিমান। এই বিমানের পাশেই ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়, এবং স্যাটেলাইট চিত্রে স্পষ্ট, একাধিক বিমানের ক্ষতি হয়েছে।
এই আক্রমণ শুধু রাশিয়ার সামরিক পরিকাঠামোকে চ্যালেঞ্জ জানায়নি, বরং প্রমাণ করেছে—প্রযুক্তি, পরিকল্পনা ও সাহস থাকলে শত্রুপক্ষের মাটি এতদূর গভীরেও আঘাত হানা সম্ভব।
🔍 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ, ইউক্রেন দেখাল আধুনিক যুদ্ধ কৌশল
বিশ্লেষকরা বলছেন, এত গভীরে রাশিয়ার ‘প্রতিরক্ষিত’ ঘাঁটিতে এমন সফল হামলা প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের বড় জয়। ইউক্রেনের এই ‘অপারেশন স্পাইডার ওয়েব’ ভবিষ্যতের ড্রোন যুদ্ধের রূপরেখা নতুন করে লেখার পথ দেখাল।