বিদেশ
১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রথম কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল মার্কিন সরকার
মহিলার অপরাধ কী?

ওয়াশিংটন: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষ প্রায় সাত দশক পর কোনো মহিলা অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল বুধবার।
মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, ইন্ডিয়ানার টেরে হাউতে স্থানীয় সময় ভোর ১.৩০টায় (০৬৩১ জিএমটি) মৃত ঘোষণা করা হয়েছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৫২ বছর বয়সি লিজা মন্টগোমেরিকে। ১৯৫৩ সালের পর থেকে প্রথম কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল মার্কিন সরকার।
মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছিল, “লিজা মন্টগোমেরি (Lisa Montgomery), যিনি ২০০৪ সালে আট মাসের এক গর্ভবতী মিসৌরি মহিলাকে শ্বাসরোধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, তাঁকে মারণ ইনজেকশন প্রয়োগ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে”। এ দিন সেই নির্দেশই কার্যকর হল। তবে এই মৃত্যুদণ্ড ডিসেম্বর মাসে হওয়ার কথা থাকলেও এ দিন তা কার্যকর হল।
জল্লাদ, প্রহরী, সাক্ষী এবং আইনজীবীদের উপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়। ওই পরিবেশ ভাইরাসের সংক্রমণের পক্ষে উপযুক্ত বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এই পরিস্থিতি এড়াতে কারা কর্তৃপক্ষ মৃত্য়ুদণ্ড স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন।
সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমেরিকায় শেষবার কোনো মহিলার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল। আমেরিকায় ব্যুরো অব প্রিজন রেকর্ডস-এর তথ্য অনুযায়ী, অপহরণ এবং খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা। সিএনএন আরও জানিয়েছে, স্বামী জুলিয়াসের সঙ্গে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য এথেল রোজেনবার্গের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছিল ১৯৫৩ সালেই।
মন্টগোমেরি বর্তমানে ইন্ডিয়ানার (Indiana) টেরে হাউতে (Terre Haute) ফেডারেল জেলে বন্দি। আইনজীবী কেলি হেনরি বলেছেন, তাঁর মক্কেল মন্টগোমেরি “মানসিক ভাবে অসুস্থ, শৈশবকালীন ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, এবং বিচারের ক্ষেত্রে তাঁর পক্ষে প্রতিনিধিত্ব পর্যাপ্ত ছিল না”।
লিজার অপরাধ!
লিজা দাবি করেছিলেন, তাঁর সদবাবা তাঁকে যৌন নির্যাতন করেছিলেন। প্রথম বিবাহে লিজার চারটি সন্তান ছিল। যদিও পরে প্রজনন অক্ষমতার কারণে সন্তান না হওয়ার জেরে তিনি শিশু চুরির রুদ্ধশ্বাস পরিকল্পনা করেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
ঘটনায় প্রকাশ, ২০০৪ সালে লিজা তাঁর স্বামী এবং বন্ধুদের জানিয়েছিলেন তিনি অন্ত:সত্ত্বা। কিন্তু এটা ছিল মিথ্যা প্রচার। এর পর মিসৌরিতে বনি জো স্টিনিট নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে পরিকল্পনা মাফিক শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাঁর গর্ভের সন্তানকে চুরি করার চেষ্টা করেছিলেন লিজা।
নাম বদল করে বনির সঙ্গে অনলাইনে আলাপ জমিয়ে কুকুর দেখার নাম করে এক দিন তাঁর বাড়িতে পৌঁছান লিজা। সঙ্গে ছিল প্রসব করানোর সরঞ্জাম। সেখানেই বনিকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন লিজা।
আরও পড়তে পারেন: ৭১ দিন পর ফের দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ভারতে
বিদেশ
বাইডেনকে ‘উষ্ণতম অভিনন্দন’ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
সম্পর্ক আরও মজবুত হবে, আশা মোদীর।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) সঙ্গে তাঁর ‘বন্ধুত্ব’ বেশ গভীর হয়ে উঠেছিল। ২০১৯ সালে আমেরিকায় ‘হাউডি মোদী’ অনুষ্ঠানে ‘অব কি বার, ট্রাম্প সরকার’ স্লোগানও তুলে দিয়েছিলেন তিনি। তবুও ট্রাম্প ভোটে জেতেননি। উলটে আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে মসনদে বসেছেন ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেন (Joe Biden)।
তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) মনে করেন বাইডেনের আমলে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। টুইট করে বাইডেনকে ‘উষ্ণতম অভিনন্দন’ও জানালেন তিনি।
চার বছরের ট্রাম্প-শাসনের অবসান ঘটিয়ে বুধবার ৪৬ তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করেন বাইডেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মোদীর টুইটারের দেওয়াল থেকে বাইডেনের উদ্দেশে একাধিক টুইট ভেসে ওঠে।
মোদী লেখেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের জন্য জো বাইডেনকে উষ্ণতম অভিনন্দন। ভারত-আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্ককে মজবুত করতে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছি।” সঙ্গে যোগ করেন, “সাফল্যের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য শুভকামনা জানাচ্ছি। একই বিষয়গুলির মোকাবিলা এবং বিশ্বব্যাপী শান্তি ও সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।”
গত চার বছরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কের অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে বলে নয়াদিল্লির তরফে একাধিক বার দাবি করা হয়েছে। ভারতের আশা, বাইডেনের আমলে এই সম্পূর্ণ আরও গভীর হবে।
মোদী লেখেন, “যৌথ মূল্যবোধের উপর নির্ভর করে আছেন ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ, বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক কর্মসূচি, ক্রমবর্ধমান আর্থিক যোগাযোগ এবং মানুষের মধ্যে প্রাণবন্ত যোগ রয়েছে। ভারত-মার্কিন সম্পর্ককে আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।”
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
মসনদে বসেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিল করা শুরু করলেন জো বাইডেন
বিদেশ
মসনদে বসেই ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত বাতিল করা শুরু করলেন জো বাইডেন
মার্কিনীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেন বাইডেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মসনদে বসেই সদ্যপ্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) নানা রকম সিদ্ধান্ত বাতিল করা শুরু করলেন জো বাইডেন। এর জন্য নতুন করে নির্দেশিকাও জারি করেছেন বাইডেন। বুধবার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরেই এই সব নির্দেশে সই করা শুরু করেন বাইডেন।
বুধবার শপথের পর হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করে ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বাইডেন। সেখানে করোনা সংকট, অর্থনৈতিক সংকট এবং জলবায়ু সংকট নিয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য তিনটি নির্দেশিকায় সই করেন তিনি।
প্রথম নির্দেশেই মার্কিনিদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেন বাইডেন। আগামী অন্তত ১০০ দিন যাতে মার্কিনিরা মাস্ক পরে থাকেন, সে ব্যাপারে দেশবাসীদের অনুরোধ করেন নতুন প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন সেটি বাতিল করার জন্যও নির্দেশিকায় সই করেছেন বাইডেন।
জানা গিয়েছে ক্ষমতায় আসার প্রথম দিনই ১৭টি নির্দেশিকায় সই করেছেন বাইডেন । এগুলোর মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত নীতি বাতিল করা এবং মুসলিম দেশ থেকে ভ্রমণের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল তা বাতিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও রয়েছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) ৪৬তম প্রেসিডেন্ট (46th President) হিসেবে শপথ দিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন জো বাইডেন (Joe Biden)। মার্কিন সমাজে যে গভীর বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে তাতে সেতু রচনা করা এবং অভ্যন্তরীণ উগ্রপন্থাকে পরাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম ভাষণ
তাঁর শপথ অনুষ্ঠানের পরে ন্যাশনাল ম্যলে বাইডেন বলেন, “গণতন্ত্র মহামূল্যবান, গণতন্ত্র ভঙ্গুর, এবং এই সময়ে, বন্ধুগণ, গণতন্ত্রেরই জয় হয়েছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এখন লাল লড়ছে নীলের বিরুদ্ধে, গ্রামের সঙ্গে শহরের লড়াই হচ্ছে, চরমপন্থীদের সঙ্গে লড়াই চলছে উদারপন্থীদের। এই অশোভন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের হৃদয়কে কঠোর না করে আমরা যদি আমাদের অন্তরের মহত্বকে মেলে ধরি, আমরা যদি একটু সহনশীলতা দেখাই আর নিজেকে যদি অন্যের জায়গায় বসিয়ে সব কিছু বোঝার চেষ্টা করি, তা হলেই এই কাজ আমরা করতে পারব।”
“সবাই মিলে আমরা আমেরিকার একটা কাহিনি লিখব, যে কাহিনি হবে আশার, ভয়ের নয়, যে কাহিনি হবে ঐক্যের, বিভাজনের নয়, যে কাহিনি হবে আলোর, অন্ধকারের নয়। শোভনতা ও মর্যাদা, ভালোবাসা, আরোগ্য আর দয়ার কাহিনি”, বলেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
আশা, ঐক্য আর আলোর নতুন কাহিনি লিখবে আমেরিকা, শপথ নিয়ে বললেন জো বাইডেন
বিদেশ
আশা, ঐক্য আর আলোর নতুন কাহিনি লিখবে আমেরিকা, শপথ নিয়ে বললেন জো বাইডেন
নতুন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হব।”

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States) ৪৬তম প্রেসিডেন্ট (46th President) হয়ে ঐক্যের ডাক দিলেন জো বাইডেন (Joe Biden)। মার্কিন সমাজে যে গভীর বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে তাতে সেতু রচনা করা এবং অভ্যন্তরীণ উগ্রপন্থাকে পরাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।
হিমশীতল ঠান্ডার মধ্যেই বুধবারের সকালটা ছিল রোদ ঝলমলে। এই আবহাওয়ার মধ্যেই ক্যাপিটল বিল্ডিং-এ (Capitol Building) চলল নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ পর্ব। ৬ জানুয়ারি এই ক্যাপিটল বিল্ডিং-এই হামলা চালিয়েছিল এক উন্মত্ত জনতা। উদ্দেশ্য ছিল, বাইডেনের জয়কে বানচাল করে দেওয়া।
প্রথমে শপথ নেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে তিনিই হলেন প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট। কমলার পরে শপথ নেন বাইডেন। অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং কোভিড ১৯ অতিমারির কারণে ক্যাপিটল বিল্ডিং-এর ন্যাশনাল ম্যল ছিল কার্যত ফাঁকা।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রথম ভাষণ
তাঁর শপথ অনুষ্ঠানের পরে ন্যাশনাল ম্যলে বাইডেন বলেন, “গণতন্ত্র মহামূল্যবান, গণতন্ত্র ভঙ্গুর, এবং এই সময়ে, বন্ধুগণ, গণতন্ত্রেরই জয় হয়েছে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “এখন লাল লড়ছে নীলের বিরুদ্ধে, গ্রামের সঙ্গে শহরের লড়াই হচ্ছে, চরমপন্থীদের সঙ্গে লড়াই চলছে উদারপন্থীদের। এই অশোভন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে হবে। আমাদের হৃদয়কে কঠোর না করে আমরা যদি আমাদের অন্তরের মহত্বকে মেলে ধরি, আমরা যদি একটু সহনশীলতা দেখাই আর নিজেকে যদি অন্যের জায়গায় বসিয়ে সব কিছু বোঝার চেষ্টা করি, তা হলেই এই কাজ আমরা করতে পারব।”
“সবাই মিলে আমরা আমেরিকার একটা কাহিনি লিখব, যে কাহিনি হবে আশার, ভয়ের নয়, যে কাহিনি হবে ঐক্যের, বিভাজনের নয়, যে কাহিনি হবে আলোর, অন্ধকারের নয়। শোভনতা ও মর্যাদা, ভালোবাসা, আরোগ্য আর দয়ার কাহিনি”, বলেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশের ১৫২ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে তাঁর উত্তরাধিকারের অভিষেক অনুষ্ঠানে গরহাজির থাকলেন। তিনি তাঁর চার বছরের রাজত্বকালে মার্কিন সমাজে গভীর মেরুকরণের সৃষ্টি করেছেন। ট্রাম্পের সমর্থকদের প্রতিও আবেদন জানালেন জো বাইডেন। প্রতিশ্রুতি দিলেন, তিনি সব পক্ষের কথা শুনবেন। বললেন, “আমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হব।”
বয়োজ্যেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট
৭৮ বছরের জো বাইডেন হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে বয়োজ্যেষ্ঠ প্রেসিডেন্ট এবং দ্বিতীয় রোমান ক্যাথলিক প্রেসিডেন্ট।
বারাক ওবামার সময়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেন ১৯৮৭ সালেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে ছিলেন।
ভারতীয় ও জ্যামাইকান অভিবাসীর কন্যা কমলা হ্যারিস হলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পদাধিকারী প্রথম মহিলা এবং দেশের ‘নাম্বার টু’ হিসাবে প্রথম অশ্বেতাঙ্গ। তাঁকে এবং তাঁর স্বামী ডাউগ এমহফকে (আমেরিকার প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’) এসকর্ট করে শপথ অনুষ্ঠানে নিয়ে আসেন কৃষাঙ্গ পুলিশ অফিসার ইউজিন গুডম্যান।
শপথ অনুষ্ঠান
বুধবার সকালে শপথ অনুষ্ঠানে বোমা নিয়ে হামলা হতে পারে বলে সুপ্রিম কোর্ট সতর্ক করেছিল। তাই সেন্ট্রাল ওয়াশিংটন এ দিন যেন এক সেনাশিবিরের চেহারা নিয়েছিল। ন্যাশনাল গার্ডের ২৫ হাজার রক্ষীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। কোভিড অতিমারির জন্য ন্যাশনাল ম্যলে সাধারণ মানুষের কার্যত প্রবেশাধিকার ছিল না। তার পরিবর্তে গোটা ম্যল জুড়ে দু’ লক্ষ পতাকা পোঁতা হয়েছিল।
ট্রাম্পের চার বছরের শাসনে যাঁদের দেখা যায়নি সেই মার্কিন তারকারা এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। লেডি গাগা গাইলেন জাতীয় সংগীত। এ দিন সন্ধ্যায় নতুন প্রেসিডেন্টের টিভি অনুষ্ঠান করার জন্য উপস্থিত ছিলেন টম হ্যাঙ্কস। জেনিফার লোপেজ গাইলেন ‘দিস ল্যান্ড ইজ ইওর ল্যান্ড’। এই গানটিকে আমেরিকার ‘আনঅফিসিয়াল’ জাতীয় সংগীত হিসাবে গণ্য করা হয়।
প্রেসিডেন্ট হয়েই প্রথম কাজ
মার্কিন প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে অবিলম্বে প্রবেশ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু তা-ই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়াও আটকে দেবেন তিনি।
এ ছাড়াও কোভিড ১৯ মোকাবিলা, অভিবাসন, পরিবেশ এবং অর্থনীতিতে নতুন পথ দেখাবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।
কোভিড ঠেকাতে টিকাকরণ কর্মসূচি অনেক বেশি প্রসারিত করার শপথ নিয়েছেন জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, “রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে এক রাষ্ট্র হিসাবে অতিমারির মোকাবিলা করব আমরা।”
মুসলিম অধ্যুষিত বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষের আগমনের উপরে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তা রদ করবেন বাইডেন। পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ট্রাম্পের নির্দেশে মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর তোলার যে কাজ চলছে তা-ও থামিয়ে দেবেন বাইডেন।
আরও পড়ুন: অফিসে শেষ দিনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বললেন, “বাইডেনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করুন”
-
রাজ্য2 days ago
বুধবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ
-
কলকাতা3 days ago
এ বার সারা দিনের পাসে বাস-ট্রাম-ফেরিতে কলকাতা ভ্রমণ
-
দেশ3 days ago
প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট
-
প্রবন্ধ2 days ago
শিল্পী – স্বপ্ন – শঙ্কা: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে যেমন দেখেছি, ৮৭তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য