বিদেশ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে পৌঁছে গেল আমেরিকা

নিউইয়র্ক: বিজ্ঞানীরা কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা করছিলেন যে করোনাভাইরাসের (Coronavirus) ভরকেন্দ্র এ বার সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) দিকে সরছে। সেই আশঙ্কাকে সত্যি করেই এক ভয়াবহ তথ্য উঠে এল।
কোভিড ১৯-এ (Covid 19) আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে এই মুহূর্তে শীর্ষ স্থানে পৌঁছে গেল আমেরিকা। শুক্রবার সকাল আটটা পর্যন্ত আমেরিকায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫,৪৩৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে চিন (China)। সেখানে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৩৪০।
আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে ইতালি (Italy) এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে। মৃতের সংখ্যার বিচারে অবশ্য ইতালি শীর্ষস্থানে। তবে কিছুটা স্বস্তির খবর এই যে মৃতের সংখ্যার ক্রমে বাড়লেও, নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা কমছে সে দেশে।
তবে ভাইরাসে নাজেহাল অবস্থা ফ্রান্স (France) আর স্পেনের (Spain)। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ফ্রান্সে। এই মুহূর্তে সে দেশে মৃতের সংখ্যা ১,৬৯৬। স্পেনে মৃত্যু হয়েছে ৪,৩৬৫ জনের। অবস্থা খারাপ হচ্ছে ব্রিটেনেরও (UK)। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানেও মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৫৭৮।
আরও পড়ুন করোনাভাইরাসের থাবায় বেহাল বিশ্বকে চাঙ্গা করতে বিপুল টাকা ঢালার সংকল্প জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির
ভাইরাসের থাবায় কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। সেই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে এক সঙ্গে ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (USD 5 Trillion) অর্থসাহায্যের সংকল্প করল জি-২০ (G 20) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলো।
ভিডিও সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে দেশগুলির মধ্যে বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বেহাল বিশ্ব অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে পুরোপুরি সহযোগিতা করা হবে। জি-২০-র অধীনে সমস্ত তহবিলকে আরও শক্তিশালী করে কোভিড-১৯ (Covid 19) মোকাবিলায় ব্যবহার করা হবে।
প্রযুক্তি
কোভিড টিকাকরণ অভিযানে গতি আনতে সদর দফতরের একাংশ ছেড়ে দিচ্ছে Facebook
সদর দফতরের একাংশকে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে রূপান্তরিত করছে ফেসবুক।

খবর অনলাইন ডেস্ক: টিকাকরণ অভিযানের গতি বাড়ানোর জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সদর দফতরের একাংশকে কোভিড টিকাকরণ কেন্দ্রে (Covid vaccination site) রূপান্তরিত করছে বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা ফেসবুক (Facebook)।
শুক্রবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেনলো পার্কে (Menlo Park) সংস্থার সদর দফতরের একটি অংশে টিকাকরণ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে।
ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্গ একটি পোস্টে লিখেছেন, এই উদ্যোগে সংস্থা জোট বেঁধেছে রেভেনসউড ফ্যামিলি হেলথ সেন্টারের (Ravenswood Family Health Centre) সঙ্গে।
স্যান্ডবার্গ লিখেছেন, “আমরা ক্যালিফোর্নিয়া প্রদেশ প্রশাসন এবং স্থানীয় অলাভজনক সংস্থাগুলির সঙ্গে প্রদেশের চারটি সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ টিকা দেওয়ার ক্লিনিকগুলিকে সহযোগিতা করার জন্য দল তৈরি করেছি”।
এ বছরের শুরুর দিকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা মার্কিন নাগরিকদের সুবিধায় কোভিড -১৯ ভ্যাকসিন গ্রহণ সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ ‘টুল’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সংস্থার ফোটো শেয়ারিং সাইট ইনস্টাগ্রামেও কোভিড-১৯ সম্পর্কিত তথ্য যুক্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কোভিড-১৯ টিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত তথ্য সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজও চলছে সমান তালে। অনুমোদনের আগে ভ্যাকসিনগুলির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কেও ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে প্রতিবেদন তুলে ধরেছে সংস্থা।
আরও পড়তে পারেন: দিল্লিতে কোনো লকডাউন নয়, শীঘ্রই নতুন বিধিনিষেধ কার্যকর হবে: অরবিন্দ কেজরিওয়াল
বিদেশ
Coronavirus Infection: কোনো বস্তু থেকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজারে মাত্র ১, জানাল মার্কিন সিডিসি
দরজার হাতল হোক বা টাকার নোট, সব কিছু পরিষ্কার করার অত প্রয়োজন নেই।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর করোনার প্রকোপ যখন প্রথম শুরু হয় বিশ্বে, তখন থেকেই সব কিছু পরিষ্কার করার যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল যে কোনো রকমের বস্তু থেকেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে পারে, সে কারণেই সব কিছু স্যানিটাইজ করার ওপরে জোর দেওয়া হচ্ছিল। কোনো সন্দেহ নেই, এর ফলে আমাদের চারিদিকে স্বচ্ছতা এসেছে। কিন্তু এই পরিষ্কারের ব্যাপারটা কোথাও একটা যেন আতংকের পরিস্থিতি তৈরি করছিল।
বাড়ির দরজার হাতল হোক বা গাড়িতে বসার আসন, নিজেদের জামাকাপড় হোক বা টাকার নোট, সব কিছুই সব সময়ে স্প্রে ছিটিয়ে স্যানিটাইজ করা এখনও আমাদের অনেকেরই অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং নিরাময় সংস্থা সিডিসি সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে স্বচ্ছতার এই রকম হিড়িকের কোনো প্রয়োজনই নেই। কারণ যে কোনো বস্তু থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা ১০ হাজার বারের মধ্যে মাত্র এক বার। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমসে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে।
সিডিসির ডিরেক্টর ডাঃ রোসেল ওয়েলেনস্কি (Dr Rochele Welenski) জানিয়েছেন, “বিভিন্ন গবেষণায় আমরা যা প্রমাণ পেয়েছি তাতে বোঝা যাচ্ছে যে এই পথে (কোনো বস্তু মারফত সংক্রমণ) কারও কোভিডে আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত নগণ্য।”
অন্যান্য বিজ্ঞানীও সিডিসির এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত। ভার্জিনিয়া টেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরাস জনিত রোগের বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেনসে মার বলেন, “এই ব্যাপারটা (কোনো বস্তু মারফত সংক্রমণ) আমরা অনেক আগে থেকেই জানতাম। তবুও বেশির ভাগ মানুষই সব কিছু পরিষ্কার করার দিকে ঝুঁকে পড়েছেন, যেটা কিছুটা আতংকও ছড়িয়ে দিচ্ছে। ওই সব পরিষ্কার করলে ভাইরাসের হাত থেকে আদৌ মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।”
রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক এমানুয়েল গোল্ডম্যান নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, কোনো বস্তু থেকে কোনো মানুষের সংক্রমিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই। তাঁর সাফ কথা, “মানুষের নিঃশ্বাস থেকে এই ভাইরাস আপনি পেতে পারেন, কাউকে ধরলে নয়।”
সংক্রমণের ঝুঁকি কী ভাবে কমানো যায় তা নিয়ে নিজেদের গত বছরের নির্দেশিকাটি কিছুটা সংশোধন করেছে সিডিসি। সেখানে তারা পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে সাধারণ সাবান এবং জল দিয়ে হাত ধোয়া এবং নিয়মিত মাস্ক পরার অভ্যাসই যথেষ্ট করোনার সংক্রমণকে এড়ানোর জন্য। চার দিক স্যানিটাইজ করার বিশেষ উপকারিতা নেই বলেই জানিয়েছে তারা। এতে স্যানিটাইজার নষ্ট হওয়া ছাড়া আর কিছুই হয় না।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Polls 2021: করোনাবিধি না মানলে নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা, সতর্কতা নির্বাচন কমিশনের
বিদেশ
Prince Philip: শতবর্ষে প্রয়াত রানি এলিজাবেথের স্বামী
ব্রিটেনের সমস্ত রাজকীয় ও সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ৭৪ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান। প্রয়াত হলেন ব্রিটেনের (Britain) রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের (Queen Elizabeth II) স্বামী প্রিন্স ফিলিপ (Prince Philip)। এটাই ছিল তাঁর জন্মশতবর্ষ। আর ঠিক দু’ মাস পরেই তিনি জন্মের একশো বছর পূর্ণ করতেন।
রানির স্বামী হিসাবে ৬৯ বছর ধরে প্রিন্স ফিলিপ ছিলেন ডিউক অব এডিনবরা (Duke of Edinburgh)। শুক্রবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “মহামান্য রানি খুব দুঃখের সঙ্গে তাঁর প্রিয় স্বামী প্রিন্স ফিলিপ, ডিউক অব এডিনবরার মৃত্যুর খবর ঘোষণা করছেন।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “আজ সকালে উইন্ডসর ক্যাসল-এ তিনি শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যথা সময়ে পরবর্তী ঘোষণা করা হবে। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে বিশ্বের সমস্ত মানুষের সঙ্গে রাজকীয় পরিবারও শামিল হয়েছে।”
ব্রিটেনের ৯৪ বছরের রানি এলিজাবেথের কাছে ডিউক অব এডিনবরার মৃত্যু এক বিশাল ক্ষতি। ৫০তম বিবাহবার্ষিকীতে তাঁর স্বামী সম্পর্কে রানি বলেছিলেন, “এতগুলো বছর ধরে তিনিই আমার শক্তি হিসাবে আমার পাশে রয়েছেন।”
১৯২১ সালের ১০ জুন গ্রিক দ্বীপ করফুতে জন্ম ফিলিপ মাউন্টব্যাটেনের। পড়াশোনা ইংল্যান্ডে। ১৯৩৯-এ তিনি রয়্যাল নেভিতে যোগ দেন। ফিলিপ ১৯৪৭ সালে ব্রিটেনের রাজকুমারী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ে করেন। এর পাঁচ বছর পর এলিজাবেথ রানি হন। তিনি হন ডিউক অব এডিনবরা। প্রাক্তন নৌ কমান্ডার রানির স্বামী হিসাবে নানা সেবামূলক কাজে আজীবন জড়িয়ে ছিলেন।
প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে ব্রিটেনের সমস্ত রাজকীয় ও সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। তাঁর মৃত্যুসংবাদ ঘোষণা করে বাকিংহাম প্যালেসের বিভিন্ন গেটে নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
-
ক্রিকেট23 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি