খবর অনলাইন ডেস্ক: সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যে। ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় অর্থাৎ ভারতীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টায়। ভোট নেওয়া চলবে স্থানীয় সময় রাত ১০টা পর্যন্ত অর্থাৎ ভারতীয় সময় রাত আড়াইটা পর্যন্ত। দেশের ৬৫০টি পার্লামেন্ট আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
নির্বাচন সংক্রান্ত যে সব জনমত সমীক্ষা করা হয়েছে, তাতে ১৪ বছরের কনজারভেটিভ শাসনের অবসান ও লেবার পার্টির বিপুল জয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে একজিট পোল তথা বুথফেরত সমীক্ষা তাতে ভোটের ফলাফলের ইঙ্গিত পাওয়া যাবে এবং তাতেই বোঝা যাবে জনমত সমীক্ষার ইঙ্গিত কতটা সঠিক।
ব্রিটেনের মার্কেট রিসার্চ এবং ডেটা অ্যানালিটিক্স ফার্ম ‘ইউগভ’ (YouGov) বুধবার ভোটের ফলের যে চূড়ান্ত হিসেব দেখিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, লেবার পার্টি একাই বিপুল ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে, যা আধুনিক ইতিহাসে কখনও হয়নি। লেবার পার্টির নেতা কায়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রীর গদিতে বসবেন। ‘ইউগভ’-এর হিসাব অনুযায়ী কে কটি আসনে জিতবে দেখে নেওয়া যাক –
লেবার পার্টি – ৪৩১, কনজারভেটিভ – ১০২, লিবারেল ডেমোক্র্যাটস – ৭২, দ্য গ্রিন্স – ২, রিফর্ম ইউকে – ৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) – ১৮ (স্কটল্যান্ডে) এবং প্লেইড সাইমরু – ৩ (ওয়েলসে)।
২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করার পরে বরিস জনসন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হন। বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের জন্য তিনি ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন। মাসদেড়েকের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন লিজ ট্রুস। তার পর ২০২২-এর ২৫ অক্টোবর থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার পান ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক।
পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে। কিন্তু ছ’ মাস আগেই সুনক নির্বাচন ডেকে দিলেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তে উল্টো ফল হতে পারে বলে রাজনৈতিক গবেষকরা মনে করছেন। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যাবে রাজনৈতিক গবেষকরা কতটা ঠিক বা ভুল।