ওয়েবডেস্ক: যৌন নিপীড়নের একটি মামলা এড়াতে উইকিলিকসের ৪৭ বছর বয়সি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সুইডেন ছেড়েছিলেন। লন্ডনের পুলিশ বলেছে, আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানার পরও আত্মসমর্পণ না করায় অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্রিটেনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে তিনি ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ টুইটারে জানিয়েছেন, “আমি নিশ্চিত করছি, জুলিয়ান পুলিশ হাজতে রয়েছেন। তাঁকে যুক্তরাজ্যেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে”।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “অ্যাসাঞ্জের এই গ্রেফতারে সহযোগিতার জন্য ইকুয়েডর সরকারকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আসলে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন”।
অন্য দিকে ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি লেনিন মরেনো জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করায় অ্যাসাঞ্জকে দেওয়া তাঁর দেশের আশ্রয় নীতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে উইকিলিকসের টুইটার থেকে বলা হয়েছে, অ্যাসাঞ্জের এই গ্রেফতারের ঘটনায় ইকুয়েডর তাদের দেওয়া রাজনৈতিক আশ্রয় প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন করেছে।
আরও পড়ুন: জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড: ‘দুঃখ প্রকাশ’-এর বেশি করতে পারল না ব্রিটেন
উল্লেখ্য, অ্যাসাঞ্জ অবশ্য আগেই দাবি করেছিলেন, তাঁকে সুইডেনে প্রত্যর্পণ করা হলে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকে গ্রেফতার করা হবে। উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্য নিয়ে তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কাঠগড়ায় তুলবে।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।