বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর হামলার বিষয়টি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় এনেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনও ভূমিকা রাখবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তিনি।
শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, “বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের (মার্কিন) কোনও ভূমিকা নেই। প্রধানমন্ত্রী (মোদী) দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়ে কাজ করছেন। আমি বাংলাদেশ ইস্যুটি তাঁর উপরেই ছেড়ে দিচ্ছি।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করবে না। সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তাঁর শাসনকালেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলা, সন্ন্যাসীদের কারাবাস এবং শতাধিক মন্দির ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্প বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু ও খ্রিস্টানদের উপর আক্রমণকে “নৃশংস” বলে উল্লেখ করেছিলেন। শেখ হাসিনাও গত বছর অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটির জন্য সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় ওয়াশিংটন তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চেয়েছিল।
পরবর্তীতে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী সাংবাদিকদের জানান, “প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর উদ্বেগ এবং মতামত প্রকাশ করেছেন। ভারত চায় এই সম্পর্ক আরও সুসংহত হোক এবং গঠনমূলক পথে এগিয়ে যাক।”
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর আমেরিকা সফরের সময় ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আওয়ামি লীগের সমর্থকরা। “ইউনুস সরে দাঁড়াও” এবং “সংখ্যালঘু হত্যাকারী” লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান।
সম্প্রতি, রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক রিপোর্টেও ইউনুস সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর সহিংসতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।