ইয়েমেনে ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে। ইয়েমেন দূতাবাস সোমবার জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতি রশাদ আল-আলিমি এই রায় অনুমোদন করেননি। দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মামলার পুরো প্রক্রিয়াটি পরিচালনা করেছে হুথি বিদ্রোহীরা, যারা ইরানের সমর্থনপুষ্ট।
কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রপতি নেতৃত্বাধীন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রশাদ আল-আলিমি এই মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেছেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তা ভুল বলে জানিয়েছে দূতাবাস।
নিমিষা প্রিয়া, কেরালার পালাক্কাড় জেলার কোলেঙ্গোড়ের বাসিন্দা। তিনি ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একজন ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন। ৩৭ বছর বয়সি এই স্বাস্থ্যকর্মী বর্তমানে ইয়েমেনের রাজধানী সানায় বন্দি। বিদ্রোহী হুথিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সানা।
২০২০ সালে একটি আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পরে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে ইয়েমেনের সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল এই রায় বহাল রাখে।
এদিকে, ভারত সরকার এই মামলার উপর নজর রাখছে বলে জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার, পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘নিমিষা প্রিয়ার মামলার সমস্ত অগ্রগতি আমরা নজর রেখেছি। এই বিষয়ে সরকার সমস্তরকম সাহায্য করছে।”
বর্তমানে নিমিষা প্রিয়া সানার জেলে বন্দি রয়েছেন।