নয়াদিল্লি : “সেনারা তাঁদের ক্ষোভপ্রকাশের জন্য যে পথ বেছে নিয়েছেন, তা দণ্ডনীয়”। রবিবার ‘সেনা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই বার্তা দেন ভারতীয় সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত। এই ব্যাপারে সেনাদের তিনি সতর্ক করে দেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ভাবে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করে তাঁরা যে অপরাধ করেছেন সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
মাত্র ক’দিন আগে বিএসএফ কনস্টেবল তেজ বাহাদূর যাদব, সিআরপিএফ কনস্টেবল জিত সিং এবং সেনাবাহিনীর ল্যান্স নায়েক যজ্ঞপ্রতাপ সিং সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে খাবারের মান ছাড়াও নানা বিষয়ে ক্ষোভ আর অভিযোগ জানানো হয়। সেই ঘটনার পরই এ দিন এই হুঁশিয়ারি দেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
জেনারেল রাওয়াত এ দিন বলেন, কিছু সংখ্যক জওয়ান সংবাদমাধ্যমের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। তাই তাঁরা ভুল ভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন। এতে সেনা জওয়ানদের নীতি-আদর্শ নষ্ট হচ্ছে। এর খারাপ প্রভাব পড়ছে যাঁরা সীমান্তে পাহারায় থাকেন, সেই সব জওয়ানের ওপর। এই ধরনের কাজের জন্য শাস্তিও পেতে হবে ওই জওয়ানদের।
অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আরও বলেন, সেনাদের সমস্ত রকম ক্ষোভ, অভিযোগ জানানোর জন্য যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা আছে। সেই পথে তাঁরা অভিযোগ করতে পারতেন। তাতে নিশ্চয়ই কাজ হত। যদি তাতেও তাঁরা সন্তুষ্ট না হতেন, তখন তাঁরা সরাসরি আমার কাছেও আসতে পারতেন। সেই রাস্তাও খোলা আছে।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ১৫ জানুয়ারি ভারতীয় সেনাপ্রধানের দায়িত্ব কোনো ইংরেজের হাত থেকে সেই প্রথম কোনো ভারতীয়ের হাতে আসে। ওই দিন ব্রিটিশ সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্রান্সিস বুচারের কাছ থেকে ভারতীয় কম্যান্ডার ইন চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল কে এল কারিয়াপ্পার হাতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা হস্তান্তর হয়। এই দিনটিকে স্মরণ করে প্রতি বছর সেনাদিবস পালিত হয়। রবিবার ‘সেনাদিবস’ উপলক্ষে ১৫ জন জওয়ানকে তাঁদের বীরত্বের জন্য পুরস্কার দেওয়া হয়। তার মধ্যে ৫ জনকে দেওয়া হয় মরণোত্তর পুরস্কার।