খবর অনলাইন: গত দু’ বছর রাজনৈতিক কারণে মাঝেমধ্যেই সংবাদ শিরোনামে জায়গা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, কিন্তু তাতে এতটুকু দাগ লাগেনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিমায়। প্রযুক্তির নয়, এমন ভারতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়েছে যাদবপুর। একটি বিদেশি সংস্থার সমীক্ষায় এশিয়ার মধ্যে ৮৪তম স্থানে রয়েছে তারা। পড়াশোনার মান, গবেষণা, পরিকাঠামো ইত্যাদির ভিত্তিতে সমীক্ষা চালিয়েছিল ওই সংস্থা। দু’ বছর আগে যদিও যাদবপুরের র্যাঙ্ক ছিল ৭৬, কিন্তু তখন পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় আর জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ও সেরা ১০০-এর মধ্যে ছিল। তাদের র্যাঙ্ক ছিল যথাক্রমে ৩২ আর ৯০।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, যাদবপুর কেন্দ্রের অনেক কম অনুদান পায় বলে গবেষণাগার, গ্রন্থাগার এবং পঠনপাঠনের নানান প্রকল্প বাধা পায়। তাঁর মতে, কেন্দ্রের অনেক বেশি অনুদান পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে পিছনে ফেলে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-অধ্যাপিকা আর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে একটি গর্বের মুহূর্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্ক আরও ভালো হতে পারত যদি পাঁচটি মাপকাঠির মধ্যে একটি, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে, পয়েন্ট আরও বেশি হত। শিক্ষকতার মানে বিশ্ববিদ্যালয় ৩৯ পয়েন্ট পেলেও আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পয়েন্ট এসেছে মাত্র ৭.৭। এর ফলে যাদবপুরের গড় পয়েন্ট হয়েছে ৩০.৭। বাকি মাপকাঠিগুলির মধ্যে ‘ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম’-এ পেয়েছে ৩৩.৮, ‘সাইটেশন’-এ পেয়েছে ৩১.৮ আর গবেষণায় পেয়েছে ২৭.৬।
সুরঞ্জনবাবু জানিয়েছেন, “যেই মাপকাঠিগুলিতে আমাদের পয়েন্ট বেশি হয়নি, তার জন্য অনুদান দরকার। আমরা আমাদের গবেষণাগারকে আধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে আরও উন্নত মানের করতে চাই, গ্রন্থাগারে আন্তর্জাতিক প্রকাশনার বই রাখতে চাই, কিন্তু অনুদানের অভাবে তা হয়ে ওঠে না। তবুও শত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় নিজেকে প্রমাণ করে দেখিয়েছে। আমরা চাইব, যাদবপুরকে উত্কর্ষের কেন্দ্র করে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার অনুদান বাড়িয়ে দিক।”
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।